স্পোর্টস ডেস্ক
দিন তিনেক আগেই খেলার মাঠে বার্সেলোনার বিপক্ষে মেজাজ হারিয়ে পাবলো গাভিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘সোমবারই আমি ব্যালন জিততে যাচ্ছি।’ স্প্যানিশ মিডিয়া থেকে শুরু করে পুরো বিশ্ব জানতে পেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হাতেই উঠছে ব্যালন ডি অরের মর্যাদার ট্রফি।
কিন্তু সব হিসাব পালটে যেতে থাকে সোমবার বিকেলের পর থেকেই। সাধারণত ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন ব্যালন ডি’ অর তালিকা নিয়ে বরাবরই সর্বোচ্চ গোপনীয়তার চেষ্টা করে। মূল আয়োজনের আগে উপস্থাপকদেরও ধারণায় থাকে না কে জিততে চলেছেন ফুটবলের ব্যক্তিগত এই প্রেস্টিজিয়াস শিরোপা।
কিন্তু দৃশ্যপট বদলেছে ২০২৪ সালে এসে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার ঘণ্টা কয়েক আগেই বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাবজিও রোমানো জানিয়েছেন, ভিনিসিয়ুসের হাতে উঠছে না এবারের ব্যালন ডি’অর। ব্যালন ডি’অরের অনুষ্ঠানেও যাচ্ছেন না রিয়ালের এই তারকা ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্যালন ডি’ অর ওঠে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রির হাতে।
ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিগত এই শিরোপা হারিয়ে বেশ বিমর্ষ ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এমনটাই জানিয়েছে মাদ্রিদভিত্তিক একাধিক সংবাদ সংস্থা। এরইমাঝে ভিনিসিয়ুস নিজেও লিখেছেন নিজের কথা। অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এই ব্রাজিলিয়ান লিখেছেন, ‘দরকার হলে আরও ১০ গুণ করবো। ওরা আমার জন্য প্রস্তুত না।’
গত মৌসুমে ভিনি দলের ও ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৪৯টি ম্যাচ। সেখানে তিনি গোল করেছেন ২৬টি ও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১১টি। গত মৌসুমে তার শিরোপার তালিকায় ছিল- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। তবে জাতীয় দলের হয়ে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ।
অপরদিকে রদ্রি গত মৌসুমে খেলেছেন ৬৩টি ম্যাচ। সেখানে গোল করেছেন ১২টি ও অ্যাসিস্ট ১৬টি। তার দখলে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও স্পেনের জার্সিতে ইউরো। ক্লাব আর জাতীয় দলে সমান পারফরম্যান্স বিচারে কিছুটা এগিয়েই ছিলেন রদ্রি।
গত এক মৌসুমে রদ্রি হেরেছেন মোটে ১ ম্যাচ। যেখানে ভিনিসিয়ুস হেরেছেন ৩ ম্যাচ। রদ্রি পুরো মৌসুমে ১১ টি বড় সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ভিনিসিয়ুসের বেলায় সংখ্যাটা ১৯৷ তবে বড় সুযোগ ভিনি মিস করেছেন ২৬টি। রদ্রি মিস করেছেন ৪টি। মৌসুমে রদ্রির গড় রেটিং ছিল ৭.৮৯। অন্যদিকে ৭.৩৬ গড় রেটিং দিয়ে নিজের দৌড় শেষ করেছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।