নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ২০১৮ সালে জব্দ করা গাড়িটি কেনেন পরীমণি। বর্তমানে শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি ও ব্র্যাক ব্যাংক যৌথভাবে গাড়িটির মালিক। ওই গাড়িটি পরীমণির জিম্মায় দিলে ব্র্যাক ব্যাংকের কোনো আপত্তি থাকবে না বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তফা গত ২৬ সেপ্টেম্বর গাড়িটি পরীমণির জিম্মায় দেওয়া যেতে পারে বলে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, যদি পরীমণির জিম্মায় গাড়িটি দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে তদন্তে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত ফেরত পেতে আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে গেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এদিন জব্দ করা আলামতগুলো ফেরত দিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক কাজী মোস্তাফা কামালকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) আদালতে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি পুলিশ দুটি জব্দ তালিকার মোট ১৬টি আলামত তাকে (পরীমণিকে) ফেরত দেওয়ার সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘যদি পরীমণিকে তার জব্দকরা আলামত ফেরত দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে মামলার তদন্তে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।’
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। অভিযানের সময় পরীমণির গাড়িসহ বাসার বিভিন্ন আসবাবপত্র জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারের পর তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট চার দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট দুই দিন এবং তৃতীয় দফায় ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। রিমান্ড এবং কারাগার মিলিয়ে ২৭ দিন থাকার পর গত ৩১ আগস্ট জামিন পান পরীমণি।
বিএসডি/আইপি