আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মির ও অন্যান্য জায়গায় মধ্যরাতে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে ভারতের হামলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেছেন, “কোটলি, ভাওয়ালপুরের পূর্ব আহমেদপুর, বাঘ, মুজাফ্ফরাবাদ এবং মুরদিকেতে হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে পূর্ব আহমেদপুরে আমরা এক শিশু নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। সেখানে ১২ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে কোটলিতে দুই বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন।”
আহমেদপুর এবং কোটলির দুটি মসজিদে ভারতের মিসাইল আঘাত হেনেছে দাবি করে এ সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, “মসজিদের ওপর এসব হামলা প্রমাণ করে এগুলো আরএসএসের হিন্দুত্ববাদীর মতাদর্শ। কারণ তারা মসজিদে হামলা চালিয়েছে।” অপরদিকে আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদে একটি রাস্তায় মিসাইল আঘাত হেনেছে। সেখানে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের অভিযানে পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। তাদের দাবি, এই হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছে; পাকিস্তানের সেনা সদস্যদের ওপর কোনো হামলা চালানো হয়নি।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, “কিছুক্ষণ আগে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছে। পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরে সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়েছে। যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯টি জায়গায় আঘাত হানা হয়েছে।”
এ হামলায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনো অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়নি দাবি করেছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। তারা বলেছে, “এটি ছিল কেন্দ্রীভূত, পরিমাপিত”। এছাড়া উত্তেজনা যেন বৃদ্ধি না হয় সে বিষয়টিতেও নজর দেওয়া হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মিরে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ ভারতীয় নিহত হওয়ার জবাবে পাকিস্তানে হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।
সূত্র: দ্য ডন