মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। সরকারি হিসাবেই দেশটিতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৩ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৪০৮ জন।
আজ মঙ্গলবার সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিন লাখ ৫৫ হাজার ৮৩২ জনের দেহে করোনা সংক্রমণের খবর জানিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪৩৮ জনের।
এর আগে গত শনিবার দেশটি একদিনে ৪ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিল; এরপর থেকে ভারতে দৈনিক শনাক্তের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে নেমে আসতে দেখা যাচ্ছে। দেশটির সরকারও সংক্রমণের হার খানিকটা ‘কমে এসেছে’ বলে জানিয়েছে।
তবে এরই মধ্যে মহামারি করোনায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। শহরটিতে প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে চলছে অক্সিজেনের তীব্র সংকট। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় দিল্লির মর্গ ও শ্মশানগুলোতে মৃতদেহ উপচে পড়ছে। শহরটির কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ সৎকারের জন্য নতুন নতুন জায়গাও খুঁজছে।
ভারত ভ্যাকসিনের সবচেয়ে বড় উৎপাদক দেশ হলেও দেশটিতে টিকার ঘাটতির কথা শোনা যাচ্ছে। জানুয়ারি থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও দেশটি এখন পর্যন্ত তাদের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের সামান্য বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দিতে পেরেছে। দেশটিতে টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন, এমন নাগরিকের সংখ্যা এখনও ২ শতাংশ হয়নি।
দুই কোটি শনাক্ত রোগীর ‘দুঃখজনক মাইলফলক’ পেরোলেও ভারতে কয়েকদিন ধরে শনাক্ত রোগীর হার ‘নামতে দেখে’ কর্মকর্তাদের অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দিল্লির পাশাপাশি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশেও সংক্রমণ ‘কমছে’ বলে জানিয়েছেন।
এ ধারা অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন রাজ্য, শহর ও জেলায় ‘সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা’ বহাল রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্মসচিব।