নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভারতে পেট্রল-ডিজেলের পর এবার অনেকটা কমছে ভোজ্যতেলের দাম। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক ভোজ্যতেলের ওপর বেসিক ডিউটি বা সাধারণ শুল্ক প্রত্যাহার করতেই বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে।
শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, উৎসবের মৌসুমে বাজারে পাম ওয়েল, সয়াবিন তেল এবং সূর্যমুখী তেলের দাম ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। যদিও, সরিষা তেলের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
কিছুদিন আগেই উৎসবের মৌসুমের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন ভোজ্যতেল বিপণন সংস্থাকে দাম কমাতে অনুরোধ করেছিল কেন্দ্র। তার প্রেক্ষিতে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন (এসইএ) তেলের দাম প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কমিয়ে দেয়।
তবে এসইএ দাম কমালেও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের অন্যান্য একাধিক সংগঠন জানিয়ে দেয়, করের বোঝা সরিয়ে তাদের পক্ষে ভোজ্যতেলের দাম বেশি কমানো সম্ভব নয়।
তারপরই কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয় একাধিক অশোধিত তেলের উপর বেসিক ডিউটি বা সাধারণ শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে। আগে আড়াই শতাংশ হারে বেসিক ডিউটি নেওয়া হত। মন্ত্রণালয়ের নতুন আদেশ অনুযায়ী এখন তা পুরোপুরি শূন্য।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব শুধাংশু পাণ্ডে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ সময় আমরা পেরিয়ে এসেছি। ভোজ্যতেলের জোগান বাড়া, শুল্ক কমানো এবং স্টক কমানোর ফলে এখন দাম অনেকটাই কমানো গিয়েছে।’
তিনি আরও জানান, গৃহস্থালির নিত্য প্রয়োজনীয় তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ ও উপভোক্তাদের স্বস্তি দিতে কয়েকজন আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক ছাড়া, ভোজ্যতেল ও তেলের বীজের ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ১ মার্চ পর্যন্ত স্টকের সর্বোচ্চ সীমা আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে সরষের তেলের দাম যে এখনও চিন্তার বিষয় তা স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব।
দীপাবলির আগে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে সাধারণ জনগণকে স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত জ্বালানি তেলের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়েছে মোট ২২টি রাজ্য। যার ফলে ভারতের সাধারণ মানুষজন অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে। এবার ভোজ্যতেলের দামও কমল অনেকটাই।
বিএসডি / আইকে