আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের মণিপুর রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাদের গোলাগুলি হয়েছে। এতে অন্তত ১০ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মণিপুর গত দুই বছর ধরে উত্তপ্ত হয়ে আছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জানিয়েছে, ভারতীয় এসব বিদ্রোহী মিয়ানমারে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু গত নভেম্বর থেকে তারা আবার বিদ্রোহী কার্যক্রম চালাতে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করতে থাকে। এরমধ্যে মণিপুরে ১০ বিদ্রোহী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটল।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বুধবার মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে বলেছে, “১০ ক্যাডারকে হত্যা এবং উল্লেখ সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।”
২০২১ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর দেশটির সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। যা পরবর্তীতে পূর্ণ গৃহযুদ্ধে পরিণত হয়। এতে করে ভারতের সঙ্গে থাকা মিয়ানমারের ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়ে।
এরমধ্যে ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুরে জাতিগত দাঙ্গা শুরু হয়। যা এখনো সক্রিয় রয়েছে। ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এ রাজ্যটিতে জাতিগত দাঙ্গায় প্রায় ২৬০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬০ হাজার মানুষ। সেখানে এক জাতির ওপর আরেক জাতির মানুষ নির্মম নির্যাতন, ধর্ষণসহ অসংখ্য অপরাধ সংঘটিত করেছে।
মণিপুরে ৩২ লাখ মানুষ বাস করেন। এরমধ্যে সেখানকার উপত্যকাটি রয়েছে মেইত জাতির নিয়ন্ত্রণে। অপরদিকে পাহাড়ি এলাকাগুলো আছে কুকিদের নিয়ন্ত্রণে। মেইতরা সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সংখ্যালঘু কুকিদের বিভিন্ন অধিকারে ভাগ বসাতে চায় । এ নিয়ে দুই জাতির মধ্যে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
সূত্র: রয়টার্স