আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বেড়েছে শতাধিক। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় ৩ লাখে। পাশাপাশি বেড়েছে সুস্থতার হারও। মহামারি শুরুর পর থেকে যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৬ হাজার ৯৬৪ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে আটশ। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৯৮ জনে।
অন্যদিকে মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে শতাধিক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৩৮৩ জন। অর্থাৎ গত এক দিনে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে ১৩১ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৮ জন।
এদিকে সংক্রমণ বাড়লেও দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে বুধবারও ভারতে বজায় রয়েছে স্বাভাবিক চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে বুধবার দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় তিন লাখে। যা ১৮৬ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৭ জন মানুষ। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১ হাজার ৯৮৯ জনে।
ভারতের মোট শনাক্ত রোগীর শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ (০.৯০%) বর্তমানে সক্রিয় রোগী। মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার এই হার কমেছে এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে এই হার সর্বনিম্ন। এদিকে ভারতে সুস্থতার হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে এই হার সর্বোচ্চ।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত ভারতে মোট ৫৫ কোটি ৬৭ লাখ ৫৪ হাজার ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৯৫ জনের।