নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন।
সোমবার (ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য নিয়োজিত করা পরামর্শ দিয়েছেন। অথচ ভারত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ব্যর্থ হয়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা করা হয়েছে। এটি কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির নিকৃষ্ট উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে যে হামলা, ভাঙচুর এবং জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য এদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে সরকারকে জবাবদিহি চাইতে হবে। জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ভারতের সরকারকে বলছি, যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, হিন্দুদের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের কুটচাল করছে ভারত। চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা যেভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে প্রতিহত করেছে তেমনিভাবে ভারতের সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বাংলাদেশে তার আধিপত্যবাদ বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত তার আধিপত্যবাদের শেকড় অনেক গভীরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা ভারতীয় আধিপত্যবাদ উপড়ে ফেলেছে। আমরা অতীতে সীমান্তে ফেলানী ও স্বর্ণা দাসকে হত্যা করার ঘটনা দেখেছি। ভারতবিরোধী কথা বলায় আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগ নৃশংসভাবে খুন করেছিল। ইসকনের সন্ত্রাসীরা আইনজীবী আলিফকে খুন করেছে।