নিজস্ব প্রতিবেদক
ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়, ভুল তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত ও হাইকোর্টের রিট অমান্য করে মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করায় আলামিন নামে এক যুবককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে ট্রাফিক পুলিশ। সোমবার (১২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে।
দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চক্করে চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় আলামিনের গতি রোধ করলে, তিনি বলেন, আমি সাংবাদিক। ট্রাফিক পুলিশ জানতে চায় কোথাকার সাংবাদিক, কোথায় কাজ করেন। তখন আলামিন বলেন সিএমএন অনলাইনে ও পিস টিভি অনলাইনে কাজ করি।
আলামিন বাংলানিউজকে বলেন, মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে মিরপুর ১০ এসেছি। আমি আমার বসের সঙ্গে দেখা করতে জুরাইন যাচ্ছি। আমার মোটরসাইকেলের পিছনে আমার ছোট ভাই যাচ্ছে। আমি সিএমএন অনলাইনে ও পিস টিভি অনলাইনে কাজ করি।
এক প্রশ্নের জবাবে আলামিন বলেন, সিএমএন অনলাইনের আইডি কার্ড দেখিয়ে বলে আমি এখানকার প্রতিবেদক। বসের সঙ্গে দেখা করা আমার কাজ। এছাড়া আজকে আমার কোনো কাজ নেই। আমি পিস টিভি অনলাইনেও কাজ করি। আলামিনের মোটর সাইকেলের পিছনে বসা যাত্রী মো. রাসেল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি মিরপুর ১১ নম্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে এই মোটরসাইকেলে উঠেছি। ২৫০ টাকা ভাড়ায় জুরাইন যাব। আমি মিরপুরে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। জুরাইনে বোনের বাসায় থাকবো। লকডাউন শেষ হলে বাড়ি ফিরে যাব।
এ বিষয়ে পল্লবী বিভাগের ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহবুব বলেন, আলামিন বেশ কিছু অপরাধ করেছেন। ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন। সাংবাদিকের ভুয়া ‘সিএমএন’ অনলাইনের আইডি কার্ড দেখিয়েছেন। মোটরসাইকেল ও মাথার হেলমেটে প্রেস লেখা স্টিকার লাগিয়েছেন।
হাইকোর্ট লকডাউনে মোটর সাইকেলে চুক্তিভিত্তিক রাইড শেয়ারিং বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। তিন হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছেন। কোথায় কার কাছে যাবেন তার সদুত্তর দিতে পারেনি আলামিন। তিনি আরও বলেন, সে (আলামিন) মোটর সাইকেলের পিছনে যে যাত্রী উঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২৫০ টাকায় চুক্তি করেছেন মিরপুর থেকে জুরাইন যাবে। মোটরসাইকেল চালক মিথ্যে কথা বলেছে। বিভিন্ন অপরাধের কারণে তাকে দুই হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়েছে।
বিএসডি/এমএম