আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারত ‘ভুল করে’ পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় যৌথ তদন্ত চেয়েছে ইসলামাবাদ। ইমরান খান প্রশাসনের দাবি, এ ঘটনায় ভারতের দেওয়া উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ যথেষ্ট নয়।
গেল বৃহস্পতিবার ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘৯ মার্চ নিয়মিত মহড়ার সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে একটি ক্ষেপণাস্ত্র দুর্ঘটনাবশত ছোড়া হয়। ভারত সরকার ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে দেখছে। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ভারতের আরও জানায়, ‘তারা জানতে পেরেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তানের একটি এলাকায় গিয়ে পড়ে। ঘটনাটি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। তবে স্বস্তির বিষয় যে কোনো প্রাণহানি হয়নি।’
ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ওই ঘটনায় গতকাল শনিবার বিস্তারিত বিবৃতি দিয়েছে ইসলামাবাদ। ওই বিবৃতিতে ভারতের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে ইমরানের প্রশাসন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ আদালত এ ঘটনার যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা বিবেচনায় নিয়েছি আমরা। সেখানকার অভ্যন্তরীণ আদালতে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের এসব ব্যাখ্যা আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি।’
তবে বিবৃতিতে ভারতের কাছে কিছু প্রশ্নে উত্তর চেয়েছে পাকিস্তান
১. ভুলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা/পদ্ধতি মেনে চলা হয়, সুনির্দিষ্টভাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল; ভারতকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
২. পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটির ধরন ও বৈশিষ্ট্য জানাতে হবে।
৩. ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ কী ছিল, কীভাবে তা পাকিস্তানে পড়ল, সে ব্যাখ্যাও দিতে হবে।
৪.নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলার সময় কি ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়?
পাকিস্তানের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুরো ঘটনায় ইঙ্গিত মিলেছে যে কৌশলগত অস্ত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতীয়দের অনেক ফাঁকফোকর ও প্রযুক্তিগত ঘাটতি রয়েছে।
পাকিস্তানের দাবি, এ ঘটনার নেপথ্য সত্যতা যথাযথভাবে বের করে আনতে যৌথ তদন্ত করতে হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, অপর পক্ষ যদি কোনো ভুল ব্যাখ্যা দেয়, তাহলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
বিএসডি/ এমআর