লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা।
লক্ষ্মীপুরে রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। এর মধ্যে জাল ভোট ও কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন বলেন, প্রায় ৯০ ভাগ কেন্দ্র থেকে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন আমার এজেন্টকে বের করে দিয়েছেন। আর ঢুকতে দেননি। আওয়ামী লীগের লোকজন জাল ভোট দিয়ে বাক্স ভর্তি করেছে। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলো ভোটারশূন্য ছিল। অথচ বাক্সগুলো দেখে তা মনে হয়নি। তাহলে এসব ভোট কে বা কারা দিয়েছে! নির্বাচনের নামে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এজন্য আমি ভোট বর্জন করেছি।
গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী শামছুল করিম খোকন বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হবে বলে প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রেই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জাল ভোট দিয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা প্রতিটি কেন্দ্রেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে। কোথাও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ ছিল না। এজন্য ভোট বর্জন করে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।
তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে। কোথাও কোনো প্রভাব খাটানো হয়নি। জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থীর অভিযোগ সত্য নয়। কারণ ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আমরা সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় সচেতন ছিলাম।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী কী অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন তা আমাকে জানাননি তারা। ভোট বর্জনের বিষয়টি আমি গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।
এদিকে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের ১৩২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. রাজ্জাক হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।
বিএসডি / এলএম