স্টাফ রিপোর্টার:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মামুন হাওলাদার (৩৭) নামে এক ব্যক্তি প্রতিবন্ধী না হয়েও সমাজ সেবা এক কর্মকর্তার যোগ সাজগে প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। মামুন হাওলাদার উপজেলার নাগ্রাভাংগা গ্রামের মৃত. মোকলেছুর রহমান হাওলাদারের ছেলে। এ ব্যাপারে সরেজমিনে জানতে গেলে ওয়াহেদাবাদ গ্রামের মো. হানিফ হাওলাদারের ছেলে সবুজ অভিযোগ করেন, তাদের সাথে প্রতিবেশী ওই মামুনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিরোধের জেরে মামুন ও তার সহযোগি মজিবর সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা মিলে (সবুজের) ভাই রাব্বি ও চাচাতো ভাই রাকিবকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় তার বাবা হানিফ হাওলাদার মামলা করলে পুলিশ কথিত প্রতিবন্ধী মামুনকে গ্রেপ্তার করে। মামুন দীর্ঘ দিন কারা ভোগের পর সমাজ সেবা অফিসে চাকুরীরত তার আত্মীয় লাভলুর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী কার্ড তৈরি করে তা দেখিয়ে আদালতের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে জামিন নেয়। মামুন আদালতে থেকে জামিন পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগে জিডি করে। সবুজ ক্ষোভের সাথে আরও জানান, মামুন যদি প্রতিবন্ধী হয় তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে জিডি করে কিভাবে? মামুন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ। সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান মামুন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ। তিনি নিজের জমি, ঘরবাড়ি অর্থ-সম্পদ সব নিজের দখলে রেখেছেন। তিনি প্রতিবন্ধী নন। এমন কি মামুন পারিবারিক জীবনে তিন -তিন টি বিবাহ করেন।স্থানীয় চৌকিদার মহিবুল্লাহ বলেন, মামুন যদি প্রতিবন্ধী হতেন তাহলে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন কিভাবে? মামুন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ। মামুনের ভাই শিক্ষক রফিকুর ইসলাম বলেন, জমির জন্য মামুন তাকে মেরে কয়েকবার রক্তাক্ত করেছে। নিজের ভালোটা নিজে খুবই ভালো বুঝে।স্বার্থ হাসিলের জন্য মাঝে মধ্যে হাবা ভাব ধরে এলাকায় মাতলামি করে বেড়ায়। এ ব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অভিযুক্ত মামুনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিরাজ আহম্মেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামুন আসলেই প্রতিবন্ধী কিনা তা তদন্ত করে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
বিএসডি/এসএসএ