নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন শনিবার রাতে ইলিশ কিনতে যান শহরের উত্তর স্টেশনের অস্থায়ী মাছ বাজারে। কিন্তু মাছের দাম শুনে খালি হাতে ফিরে গেছেন তিনি।
শনিরাব রাতে পৌর এলাকার উত্তর স্টেশন, দক্ষিণ তেমুহনী, ঝুমুর ও শহরের মাছ বাজার ঘুরে ইলিশের উপস্থিতি বেশ দেখা গেছে। তবে অনেক চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে রুপালি ইলিশ।
এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১২শ থেকে ১৩শ টাকা। পাঁচশ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৭শ টাকার মধ্যে। আর ছোট আকারের ইলিশ ৪শ থেকে ৫শ টাকা।
কিন্তু গেল বছরের ঠিক এ সময়টাতে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকার মধ্যে। আধা কেজি ওজনের ইলিশ ৩শ টাকা আর ছোট আকারের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা।
বিক্রেতা সোহবার হোসেন বলেন, গেল বছরের চেয়ে এবার নদী এবং সাগরে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। বেশি দাম দিয়ে ঘাট থেকে আমাদের মাছ কিনে আনতে হয়। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেশি।
শনিবার বিকেলে কথা হয় রামগতির আজাদনগরের ট্রলার মালিক মো. জসিম উদ্দিনে সঙ্গে। তিনি জানান, সাগরে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার ট্রলারে নিয়োজিত জেলেরা।
জসিম জানান, ৬-৭ দিন পর তার ট্রলার সাগর থেকে মাছ শিকার শেষে উপকূলে আসে। ট্রলারে ২০ জন জেলে মাছ শিকারে নিয়োজিত ছিলো। ট্রলারের জ্বালানি এবং জেলেদের খাওয়া বাবদ খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকার মতো। জেলেরা যে মাছ ধরেছে সেগুলো তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।
তিনি জানান, সাগরে মাছের পরিমাণ কম। তাই ঘাটে বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে পেরেছেন। তবে গেল দুই সপ্তাহ আগেও সাগরে তেমন মাছ ছিলো না। তখন জ্বালানি খরচও উঠতো না।
রামগতির বিবিরহাট এলাকার জেলে জয়নাল বলেন, সাগর বা নদীতে মাছ বেশি ধরা পড়লে বাজারে দামও কম থাকে। তবে ইলিশ যত বেশি ধরা পড়ে, জেলেদের মনে তত আনন্দ লাগে।
লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীরহাট মাছঘাটের দাদন ব্যবসায়ী বাবুল মেম্বার বলেন, সাগরে কিছু মাছ ধরা পড়লেও নদীর জেলেরা আশানুরূপ মাছ পাচ্ছে না। মেঘনার মাছের আকার ছোট হলেও দাম বেশি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, নদী এবং সাগরে জেলেদের জালে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। তবে গেল বছরের তুলনায় কম। আগামী এক মাসের মধ্যে মাছের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
বিএসডি/আইপি