নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘পুলিশের সোর্স’ হিসেবে পরিচিত ডাকাত সর্দার শাহ আলম। তিনি শুধু ডাকাতিই করেন না, মানুষ পেটান মধ্যযুগীয় কায়দায়।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) ভোরে শাহ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে ডাকাতির মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ভাইরাল হওয়ার ভিডিওতে দেখা যায়, মদ্যপ অবস্থায় অর্ধনগ্ন হয়ে বেঢক নাচ করছেন ডাকাত সর্দার শাহ আলম। হাতে একটি লাঠি। তার পেছনে দুহাত জোর করে আকুতি করছেন এক যুবক। শাহ আলম একবার নাচেন, আরেকবার ভুক্তভোগীকে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন।
গ্রেফতার হওয়ার পর ভিডিওর এ ঘটনায় আগের ধারণ করা বলে জানিয়েছেন শাহ আলম। তার দাবি, অপর ডাকাত সাদ্দাম গ্রুপ ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই ডাকাতের দ্বন্ধে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তার আগেই শাহ আলমকে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি বলেন, ভোরে তাকে গ্রেফতার করে দুপুর ১২টার দিকে আদালতে পাঠানো হয়। নির্যাতিত যুবক ডাকাত সাদ্দামের সহযোগী। লেনদেন নিয়ে দ্বন্ধে তাকে পেটানো হয়।
শাহ আলম সোনারগাঁ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মজিবরের সোর্স হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এমন দাবি অস্বীকার করেন ওসি হাফিজুর। তিনি বলেন, শাহ আলমের সাথে পুলিশের কোনো সর্ম্পক নেই। পুলিশের নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থ আদায়, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা করতো। সে মূলত একজন ডাকাত।
জানা গেছে, শাহ আলম বাড়ি চিনিস গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে। তিনি নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে মারধর, অর্থ আদায় করাই তার পেশা। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। পুলিশের সোর্স পরিচয় দেওয়ায় এলাকার কেউ তাকে কিছু বলতে পারত না।
বিএসডি/ফয়সাল