আন্তজার্তিক ডেস্ক:
মরক্কো ও ইথিওপিয়ায় সশস্ত্র ড্রোন রফতানি করতে যাচ্ছে তুরস্ক। আন্তর্জাতিক সংঘাতে সফলভাবে তুরস্কের ড্রোন ব্যবহারের পর এমন খবর এসেছে।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ইথিওপিয়ায় তুর্কি ড্রোনের যে কোনো চালান পৌঁছালে তাতে কায়রোর সঙ্গে আংকারার সম্পর্ক আরো খারাপ অবস্থায় চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যদিও তুরস্কের সঙ্গে মিশরের টানাপোড়েনের সম্পর্ক কাটিয়ে উঠতে সম্প্রতি দুদেশকেই তৎপর হতে দেখা গেছে।
নীল নদে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ নিয়ে ইথিওপিয়ার সঙ্গে মিসরের দ্বন্দ্ব রয়েছে। মিসরের দুটি নিরাপত্তা সূত্র বলছে, তুরস্কের সঙ্গে ইথিওপিয়ার যে কোনো চুক্তি আটকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশকে অনুরোধ করেছে মিসর।
ড্রোন চুক্তি নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা বলেনি তুরস্ক, ইথিওপিয়া ও মরক্কো। তুরস্কের এক কর্মকর্তা বলেন, চুক্তিতে বিয়ারাকতার টিবি২ ড্রোন ক্রয়ে অনুরোধ করেছে ইথিওপিয়া ও মরক্কো। এতে অবশ্য অতিরিক্ত যন্ত্রাংশের নিশ্চয়তা ও প্রশিক্ষণকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, গত মে মাসে ক্রয়াদেশ দেওয়া সশস্ত্র ড্রোনের প্রথম চালান গ্রহণ করেছে মরক্কো। ইথিওপিয়াও এ ধরনের ড্রোন পাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তাদের অবস্থান এখনো পরিষ্কার হয়নি। এদিকে চুক্তিতে ড্রোনের সংখ্যা কিংবা তার বিনিময়ে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ইউক্রেন ও তুরস্কের ন্যাটো অংশীদার পোল্যান্ডও সশস্ত্র ড্রোনের ক্রয়াদেশ দিয়েছে। ইসরায়েল, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনের চেয়ে তুরস্কের ড্রোন সস্তা হওয়ায় চাহিদা বেশি বলে দাবি করেছেন বিশ্লেষকরা।
গত দুমাসে মরক্কো ও ইথিওপিয়ায় তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও বিমান সরঞ্জাম রপ্তানি মারাত্মকভাবে বেড়েছে। কিন্তু ড্রোন বিক্রি নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য মেলেনি। এ নিয়ে জানতে চাইলে ইথিওপিয়ার সামরিক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকি মরক্কো সরকারও কোনো জবাব দেয়নি। অর্থনৈতিক সংকট কমিয়ে আনতে ড্রোন রফতানি বাড়াতে চাচ্ছে তুরস্ক সরকার। আর আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে সশস্ত্র ড্রোনের গুরুত্বও দিনে দিনে বাড়ছে।