নিজস্ব প্রতিবেদক
মশার লার্ভা ধ্বংসের কীটনাশক দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বুধবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দফতর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার ১১তম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, আগে একটা কোম্পানি কীটনাশক আমদানি করত। এখন ওপেন করে দেওয়া হয়েছে। এখন কিছু বেসরকারি কোম্পানি সেই কীটনাশক আনছে। আমরা সেগুলো দোকানে দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করব।
তিনি বলেন, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর নয়, আমরা ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট করতে যাচ্ছি। এটার জন্য কাজ চলছে। সারাদেশের জন্য এটা করব।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে ভরসার জায়গা হলো গ্রামে এডিস মশা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যেখানে নিচে মাটি আছে, সেখানে মশা ডিম পাড়লেও তা ফুটবে না। পরিবেশের ক্ষতি যেন না হয়, সেটা মাথায় রেখেই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
ছাদ বাগান করলে ফুলের টবের মধ্যে কয়েক ফোঁটা কেরোসিন তেল দেওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে প্রতিদিন পানি সরাতে হবে না। কেরোসিন দিলে সেখানে লার্ভা হবে না।
বিধিনিষেধের কারণে নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ বন্ধ থাকা, অনেকে বাসা খালি রেখে গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়া এবার এডিস মশা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষিত অনেক মানুষের বাসায় প্রচুর লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা দুঃখজনক।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক, একটি মৃত্যুকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ২০২০ সালের সাফল্যের পর আশা করেছিলাম এবারও ডেঙ্গু কম হবে, কিন্তু নানা কারণে সেটা হয়নি।
বিএসডি/এমএম