করোনাভাইরাসের মহামারিতে ভুগছে বিশ্ব। ভবিষ্যতে মহামারি প্রতিরোধে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবেন বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭-এর নেতারা। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আজ শনিবার এ বিষয়ে নেতাদের একটি যৌথ ঘোষণা আসার কথা রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মহামারি মোকাবিলায় এই ধনী দেশগুলো তাদের সব ধরনের সম্পদের ব্যবহার করবে—এমন ঘোষণাও আসতে পারে আজ। এ ছাড়া ঘোষিত কর্মপরিকল্পনার মধ্যে থাকবে, এমন মহামারি পৃথিবীকে যাতে আর না ভোগায়, সে জন্য টিকা তৈরি ও টিকার লাইসেন্স দেওয়া, রোগ শনাক্ত ও এর চিকিৎসাপদ্ধতি বের করতে সর্বনিম্ন সময় নেওয়া (১০০ দিনের মধ্যে)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে শক্তিশালী করা এবং এটি পুনর্গঠন করা। জিনোম সিকোয়েন্স এবং বৈশ্বিক নজরদারির জন্য একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালের কারবিস বেতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ছাড়াও এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ দুই নেতাও এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এই সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেবেন ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারা।
এর আগে ২০১৯ সালে সর্বশেষ নেতারা মুখোমুখি বসে এই সম্মেলন করেছিলেন। এরপর করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে ২০২০ সালের সম্মেলন বাতিল হয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিন দিনের এই সম্মেলনের শুরুতে জনসন বলেন, ‘২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মহামারি থেকে শিক্ষা নেওয়া আমাদের জন্য জরুরি।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ গণতান্ত্রিক দেশের নেতারা এক স্থানে জড়ো হয়েছেন। আমরা গত ১৮ মাসের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিচ্ছি। পরবর্তী সময়ে আমরা ভিন্নভাবে পদক্ষেপ নেব।’
গতকাল শুক্রবারের আলোচনা শেষে নেতারা ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আজ একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই অধিবেশনের পর ‘কারবিস বে ডিক্লারেশন’ উত্থাপন করবেন জি-৭-এর নেতারা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বে যাতে আর এ রকম মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় না আসে, সে জন্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন তাঁরা। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন রোধেও বেশ কিছু ঘোষণা আসতে পারে।