নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রাথমিক স্তরের শিশুরা। কেবল তৃতীয় শ্রেণির ‘ক্লাউড’ ও ‘স্কাই’ সেকশনেই প্রাণ হারিয়েছে ৯ জন শিশু শিক্ষার্থী। পুরো ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক সারসংক্ষেপ প্রতিবেদনে জানায়, দুর্ঘটনার সময় স্কুল ভবনের বিভিন্ন শ্রেণি ও সেকশনে শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। বিমানটি ভবনের মধ্যাংশে বিধ্বস্ত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে নিচতলার ক্লাসরুমগুলোতে, যেখানে মূলত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিল।
বাংলা ভার্সনের তৃতীয় শ্রেণির ‘ক্লাউড’ সেকশনের ৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন নিহত, ২৭ জন নিরাপদ, এবং কেউ কেউ আঘাত পেয়েছে। একই শ্রেণির ‘স্কাই’ সেকশনে ১ জন নিহত এবং ৩ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে।
এছাড়া বাংলা ভার্সনের চতুর্থ শ্রেণির ‘দোয়েল’ সেকশনে ১ জন এবং ইংলিশ ভার্সনের ষষ্ঠ, সপ্তম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বিভিন্ন সেকশনে আরও ৬ জন শিক্ষার্থী মারা গেছে। বিশেষভাবে, সপ্তম শ্রেণির ‘আলামান্ডা’ সেকশনে প্রাণ হারিয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া, কলেজ শাখার চারটি বিভাগের ৮ জন শিক্ষার্থীও আহত হয়েছে।
সবমিলিয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় স্কুল শাখার ১৮ জন শিক্ষার্থী, ২ জন শিক্ষক, ২ জন অভিভাবক মৃত্যুবরণ করেন। এ দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন ৫১ জন। এদের মধ্যে ৪০ শিক্ষার্থী, ৭ জন শিক্ষক, ১ জন অভিভাবক, ১ জন আয়া ও ১ জন পিয়ন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ৫ জন। যাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন অভিভাবক।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই সকালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় প্রতিষ্ঠানটির চলমান ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। এ ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
তবে আন্তঃবাহনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) গতকাল পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ছিল ৩১। আজকে মারা যাওয়া মাহাতাবকে দিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২ জনে।