আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মেয়েদের হোস্টেলে মাঝরাতে ঢুকে পড়ল একটি চিতাবাঘ। রবিবার ভারতের লখনউ শহরের ইন্টিগ্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস হোস্টেলে ঘটনাটি ঘটেছে ।ওই ঘটনায় চিতাবাঘটিকে তাড়াতে গিয়ে ১৫ জন জখম হয়েছেন। পরে চিতাবাঘটিকে ধরতে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও সোমবার সকাল পর্যন্ত তার নাগাল পাওয়া যায়নি।
লখনউয়ের রাস্তায় গত দু’দিন ধরেই ঘুরে বেড়চ্ছে চিতাবাঘটি। বড়দিনের রাতে সিসিটিভি ক্যামেরায় প্রথম তার ছবি ধরা পড়ে। তারপর থেকে লখনউয়ের পাহাড়পুর, আদিলনগর, কল্যাণপুর এলাকায় বারবার দেখা গেছে চিতাবাঘটিকে। যদিও তাকে ধরার সব রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে চিতাবাঘের হামলার ভয়ে উৎসবের মৌসুমে বাধ্য হয়েই ঘরবন্দি হয়েছেন নবাবনগরীর বাসিন্দারা।
আতঙ্ক এতটাই ছড়িয়েছে যে ‘বাঘ’ তাড়াতে কেউ বাড়ির ভিতরেই তারস্বরে গান বাজিয়েছেন। কেউ আবার গলা ছেড়ে পড়েছেন হনুমান চালিসা। কল্যাণপুরের সীমান্তনগরের অঞ্জু যাদব জানিয়েছেন, তার ৫ বছরের সন্তান বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। তিনি ছিলেন ঘরের ভিতরে। ঠিক তখনই কেউ চিৎকার করে বলে তাদের কলোনিতে একটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছে। অঞ্জুর কথায়, “মুহূর্তের মধ্যে কী যেন একটা হয়ে যায়। আমার স্বামী ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। আমি প্রচণ্ড ভয়ে চিৎকার করে হনুমান চালিসা আওড়াতে শুরু করি।”
সূত্র: আনন্দবাজার
বিএসডি/ এলএল