নিজস্ব প্রতিবেদক
শিশুদের বুকের দুধ পান করতে মায়েদের সহায়তায় বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ (ডব্লিউবিটিআই) এ তালিকায় প্রকাশ করেছে।
বিশ্বের ৯৮ দেশের মধ্যে ৯১ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ এ তালিকায় প্রথম হয়েছে। প্রথম তিনটি দেশই দক্ষিণ এশিয়ার। বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দুটি দেশ হলো শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান।
ডব্লিউবিটিআই ১০টি সূচক ও কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে দেশগুলোকে লাল, হলুদ, নীল ও সবুজ রঙের মর্যাদা দেয়। ৯১ স্কোর নিয়ে শ্রীলংকা আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এই দুটি দেশই সবুজ জাতির মর্যাদা পেয়েছে। ৮৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। নীল জাতির মর্যাদা পেয়েছে দেশটি।
ডব্লিউবিটিআই বলছে, সূচকে বাংলাদেশ জাতীয় নীতি, কর্মসূচি ও সমন্বয়ে ৭, শিশুবান্ধব হাসপাতালের প্রচেষ্টায় ৮, আন্তর্জাতিক কোড বাস্তবায়নে ৯, মাতৃত্ব সুরক্ষায় ৮ দশমিক ৫, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি যত্নে ৯, মায়েদের সহায়তা এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততায় ১০, তথ্য সহায়তায় ১০, নবজাতককে খাওয়ানো ও এইচআইভিতে ১০, জরুরি অবস্থায় নবজাতককে খাওয়ানোয় ১০ এবং পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে ১০ পেয়েছে।
তালিকার প্রথম ১০ দেশে হলো- বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, কিউবা, গাম্বিয়া, বলিভিয়া, তুরস্ক, এলসালভাদোর, নাইজার, কেনিয়া। তালিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে লিবিয়া। তাদের স্কোর ১৯। প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৭৯তম।
ডব্লিউবিটিআইয়ের বৈশ্বিক সমন্বয়ক অরুণ গুপ্তা বলেছেন, বাংলাদেশের এ অর্জন ২০০৫ সাল থেকে প্রচেষ্টার ফসল। নবজাতক ও ছোট শিশুর খাবার বা ইনফ্যান্ট অ্যান্ড ইয়াং চাইল্ড ফিডিং বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ এই স্কোর অর্জন করেছে।
এ অর্জন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির প্রতি সরকারের উচ্চমাত্রার অঙ্গীকারের প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করেন অরুণ গুপ্তা।
বিএসডি/এমএম