মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের শিবচরে মানব পাচারের অভিযোগে মানিক চৌধুরী ওরফে মানিক বিশ্বাস (৩২) নামে একজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করছে শিবচর থানা পুলিশ। এ সময় তার স্ত্রী শুভতারাকেও আটক করা হয়।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৭ টার দিকে শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তার কাছে থেকে সোমা আক্তার ওরফে সোনিয়া নামে এক গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়।
আটক মানিক চৌধুরী ওরফে মানিক বিশ্বাস গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামের মৃত রবিউল চৌধুরী ছেলে বলে স্থানীয়দের কাছে পরিচয় দেয়। তবে পুলিশের কাছে সে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বনগাঁর উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হরিদাসপুর নয়া গোপালগঞ্জের বরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে হিসেবেও পরিচয় দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন আগে ঢাকার সাভার এলাকায় এক বান্ধবীর বাড়ি বেড়াতে যায় মানিক চৌধুরী ও তার স্ত্রী শুভতারা। সেখানে গিয়ে পরিচয় হয় সজল ইসলামের স্ত্রী সোমা আক্তার সোনিয়ার। সেই সূত্রধরে সোনিয়াকে ঢাকার উত্তরায় চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গত তিনদিন আগে ঢাকা শহরে আসার কথা বলে কৌশলে শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ে আসে।
সেখানে তিনদিন তিন রাতে তাকে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে কৌশলে এ ঘটনা তার স্বামীকে জানান। পরে তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিস্তারিত জানান। পরে খবর পেয়ে শিবচর থানার এস আই কামরুল ইসলামের নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে।
উদ্ধার হওয়া সোমা আক্তার সোনিয়া জানান, আমার এক বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে আসলে তাদের সাথে আমার পরিচয় হয়। তারা সে সময় আমাকে ঢাকার উত্তরাতে কাজ পাইয়ে দিবে বলে আমাকে বললে আমি রাজি হই। গত তিনদিন আগে আমাকে ঢাকা আসতে বলে পরে আমার স্বামীর সাথে আলাপ করে ঢাকায় আসি।
সেখানে তারা আমাকে কৌশলে শিবচর নিয়ে আসে। এখানে একটি ঘরে আমাকে তিনদিন আটকে রাখে। এছাড়াও আমার একটি বড় ফোন কেড়ে নেয়। তবে আমার কাছে ছোট একটি ফোন ছিল। সেই ফোন দিয়ে পরে আমি আমার স্বামীকে ঘটনা জানাই। এরপরে সে ৯৯৯ এ ফোন দিতে বললে সেখানে আমি তাদের ফোন দিয়ে জানাই। ”
শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন জানান, “গতকাল রাতে আমাদের পুলিশের জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পাচারের অভিযোগে তাদের আটক করি। এ সময় সাভার এলাকার এক গৃহবধূকে উদ্ধার করি। এ বিষয়ে শিবচর থানায় একটি মানবপাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। ”
বিএসডি/জেজে