নিজস্ব প্রতিবদক
সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে জীবনে তৃপ্তি খোঁজেন মানবতার ফেরিওয়ালা এস এ মাহফুজা। কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি নতুন-নতুন উদ্ভাবন করেও থেমে থাকেননি তিনি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ, ছিন্নমূল পথশিশু ও রাস্তায় থাকা মানুষের বাসস্থান ও খাবারের ব্যবস্থা করতে থাকেন তিনি। দীর্ঘ ১৫টি বছর তিনি পরিবেশ ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সেবা করে যাচ্ছেন।
সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ইতোমধ্যে তার ঝুলিতে জমা হয়েছে অসংখ্য সম্মাননা স্মারক। করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাক্স, হ্যান্ডগ্লাফস, হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ ঘরে থাকা কর্মহীন মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত খাদ্য সরবরাহ করেন তিনি। নিজের অর্থ দিয়ে তিনি পরিবেশ ও মানুষের জন্য একাগ্রচিত্তে কাজ করে যাচ্ছেন শুরু থেকে।
নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আত্মতৃপ্তির স্বাদ মিটাতে দিনে রাতে রাস্তায় থাকা পাগল ও অভুক্ত প্রাণীকূলে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন নিজেরই তৈরি প্রতিষ্ঠান ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান ওয়েলফেয়ার এর মাধ্যমে। নিজের এলাকা ছাড়াও সারা দেশে কিশোরীদের বিশেষ সময়ের জন্য স্যানিটারি নাপকিন সরবরাহ করে চলছেন তিনি।
পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, অসহায়কে খাদ্যসামগ্রী প্রদান, নিরাপদ খাবার পানির জন্য টিউবওয়েলের ব্যবস্থা ও পথে থাকা অসহায় ছিন্নমূল মানুষের জন্য বাসস্থান ও খাবারের ব্যবস্থা তার নিত্যদিনের কাজের বড় একটি অংশ হিসেবে পরিচালনা করছেন নিজ হাতে সে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শীতার্ত আবহাওয়ায় মানুষ যেখানে যবুথবু সেই পরিস্থিতিতে কম্বল নিয়ে ঘুরে বেড়ান গরিব অসহায় পরিবারের মাঝে ও খোলা আকাশের নিচে থাকা মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছেন তিনি। তার এতসব কর্মকাণ্ডে মানুষের কাছে তিনি আজ ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসাবে পরিচিত। পরিচিতি পেয়েছেন সফল মানবাধিকার কর্মী।
এস এ মাহফুজা জানান, পরিবারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানবিক কাজ করে আত্মতৃপ্তি পাই। কারো কোনো উপকার করতে পারলে নিজের কাছেও ভালো লাগে। দেশটা আমাদের সবার। দেশ আমাদেরই গড়তে হবে।