নিজস্ব প্রতিবেদক
মানুষের শরীরের ৩৩ শতাংশ রোগ হয় ভেজাল খাদ্য থেকে। এতে প্রতি বছর চিকিৎসা বাবদ ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানায়।
এ সময় ভেজাল খাদ্যের নানা দিক, লক্ষণ ও প্রতিকার তুলে ধরে বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক শাহরান হোসাইন।
তিনি বলেন, গত এক বছরে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে জরিমানাসহ মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৬৮১টি নমুনা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণসহ পোস্টার-লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ চলমান আছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মোখতার আহমেদ। এ সময় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জিয়া আহমদ সুমন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির আবদুল করিম, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সভাপতি আইয়ুব আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা অলিউল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল মাহিন প্রমুখ।
এছাড়াও কর্মশালায় ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মোখতার আহমেদ বলেন, ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন হলেও এখনো এর কিছু দিক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকার। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।