নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা বারবার আহ্বান জানাচ্ছি, দ্রুত সময়ে একটি নির্বাচন দিতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় গত ১৭ বছর স্বৈরাচার সরকার নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করেছিল, অন্তর্বর্তী সরকারকেও দেখছি একই কাজ করতে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের সব রাজনৈতিক দল এবং মানুষ চায় আগামী ডিসেম্বরের ভেতরেই নির্বাচন।
শনিবার (৩১ মে) দিনব্যাপী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্লবী ৩ নম্বর ওয়ার্ড, রূপনগর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড, দুয়ারিপাড়াসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসহায়দের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সরকারই পারবে একমাত্র পরিপূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার করতে।
নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। তারা ভোট দিতে চায়। মানুষ তার নাগরিক অধিকার, ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। গত ১৭ বছর মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। সেই নির্বাচনের জন্য এখন অপেক্ষা করছে।
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের কথা বললেও কিন্তু সংস্কারের ধারের কাছেও নাই বলে দাবি করে আমিনুল বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের কথা বলছেন। কিন্তু আপনাদের ভেতরে স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রকারীরা ঢুকে গেছে। আপনারা স্বৈরাচারের কথা শুনছেন কিন্তু জনগণের কথা শুনছেন না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু সংস্কার করেছিলেন। আজকের রাজনৈতিক কঠিন সময়ে আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার কর্মপরিকল্পনা দিয়েছেন। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষ তার পরিপূর্ণ নাগরিক অধিকার ফিরে পাবে।
এসময় আরও উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।