বিনোদন ডেস্ক:
আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালির’ কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে সাদ স্যাম রহমান নামের ইভ্যালির এক গ্রাহক অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। গত ৪ ডিসেম্বর ধানমন্ডি থানায় তিনি এই মামলা করেন।
এ মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান এবং অভিনেত্রী মিথিলা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান শুক্রবার সাংবাদিকদের জনান, এ মামলায় তাহসান-মিথিলা-ফারিয়াসহ অন্য আসামিরা যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শবনম ফারিয়া গণমাধ্যমে বলেন, ‘যখন জানব আমার দোষ ছিল তখন আমি মামলা লড়ার প্রস্তুতি নেব।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, আমি ইভ্যালিতে জয়েন করার পর কখনো এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো পোস্ট দেই নাই, প্রমোশনও করি নাই। কারণ ওদের সাথে আমার কথা ছিল, আমি পেছনে থেকে অফিশিয়াল কাজ করব; সামনে কোনো কাজ করব না।।
তার দাবি, যে সব কারণে তাকে অপরাধী দেখানো হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই তার।
শবনম ফারিয়া বলেন, আমি এখনো ইভ্যালি থেকে এক টাকাও পাইনি। যে অভিযোগ করেছে সেগুলোর সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। প্রমোশন করলে আমি সেটার জন্য অনেক টাকা নেই। তাদের কাছ থেকে বেতনের টাকা নিয়ে আমি প্রমোশন করব না বলে চাকরি নেওয়ার আগেই জানিয়েছি।
ইভ্যালি নিয়ে কখনো সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি উল্লেখ করে ফারিয়া বলেন, আমি ফেসবুকে কোনো রকম পোস্ট শেয়ার করিনি। কারণ, আমি জয়েন করার পরপরই ওদের ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। আমি কোনো কাজই করতে পারিনি তাদের সঙ্গে।
ফারিয়া মনে করেন, তাকে হয়রানি করার জন্য এ মামলাটি করা হয়েছে। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, আমাকে হয়রানি করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে। কেন হয়রানি, কী জন্য হয়রানি সেটা তো আমি জানি না। আর থানা পুলিশ বলেছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে আমার সম্পৃক্ততা আছে কি না। আমি নিশ্চিত (শিউর) উনারা আমার সম্পৃক্ততা পাবে না ।
সাদ স্যাম রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা, যা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রেফতার হওয়া ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস।
বিএসডি/জেজে