আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন। গতকাল শুক্রবার ঘোষিত সেই মন্ত্রিসভা তিনি সাজিয়েছেন আগের প্রশাসনের অনেক সিনিয়র মন্ত্রীকে আগের দায়িত্বে বহাল রেখেই। এমনকি আগের প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের অনুকরণে উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদটিও খালি রেখেছেন ইসমাইল। রয়টার্স।
টেংকু জাফরুল আজিজকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে। সাবেক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রী খয়েরি জামালউদ্দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। পূর্ববর্তী প্রশাসনের বেশ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীকেও তাদের পদে বহাল রাখা হয়েছে। যেমন- আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আজমিন আলী, পূর্তমন্ত্রী ফাদিল্লাহ ইউসুফ, শিক্ষামন্ত্রী রাদজি জিদিন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেন।
এক টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেন, আশা করি, এই মন্ত্রিসভার নিয়োগ দেশের জন্য নতুন আত্মবিশ্বাস জাগাবে এবং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করবে। তিনি বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা এবং সে অনুসারে লক্ষ্য অর্জন করা প্রয়োজন। এর জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে প্রথম ১০০ দিনে তাদের অর্জন প্রমাণ করতে হবে।
খবরে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে নতুন মন্ত্রিসভায় ৩১ জন মন্ত্রী এবং ৩৮ জন ডেপুটি রয়েছেন। আগামী সোমবার নতুন মন্ত্রীরা শপথ নেবেন। তবে পুরাতন ব্যক্তিদের দিয়েই মন্ত্রিসভা সাজানোর বিষয়টিকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না। তারা বলছেন, আগের প্রশাসন যেখানে সংকট উত্তরণে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের মধ্য থেকেই নতুন করে লোক নেয়ায় জনগণের আস্থা ফেরাতে পারবে না সরকার।
বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, দেশের কোভিড -১৯ এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় নতুন ধারণা এবং নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন হলেও যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা সমস্যাটি কার্যকরভাবে কাটিয়ে উঠার সক্ষমতা সম্পন্ন নয়।
ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন পার্টির (ডিএপি) মহাসচিব লিম গুয়ান এটিকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য মন্ত্রিসভা আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এ মন্ত্রিসভায় নতুন বোতলে পুরনো মদ রাখার থেকে ভিন্ন কিছু নয়।
নতুন এ মন্ত্রিপরিষদকে হতাশাজনক আখ্যা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, একই লোকদের নিয়োগ করা হয়েছে যদিও তারা মুহিউদ্দিনের অধীনে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি।
মালয়েশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী: আজমিন আলী, ডেপুটি- লিম বান হং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী- হিশামুদ্দিন হুসেইন, ডেপুটি: ইকমাল হিশাম আব্দুল আজিজ। কর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী- ফাদিল্লাহ ইউসুফ, ডেপুটি- আর্থার জোসেফ কুরুপ। শিক্ষামন্ত্রী- রাদজি জিদিন, ডেপুটি: মাহ হ্যাং সুন ও এডিন সিয়াজলি শিথ। অর্থমন্ত্রী- টেংকু জাফরুল আজিজ, ডেপুটি: মোহাম্মদ শাহর আবদুল্লাহ ও ইয়ামানী হাফেজ মুসা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী- খয়েরি জামালউদ্দিন, ডেপুটি: নূর আজমি গাজালি ও অ্যারন আগো দাগাং। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রী- অধম বাবা, ডেপুটি: আহমদ আমজাদ হাশিম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- হামজা জয়নুদ্দিন, ডেপুটি- ইসমাইল মোহাম্মদ সাইদ ও জোনাথন ইয়াসিন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী- সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ, ডেপুটি: কামারুদ্দিন জাফর
বিএসডি/এএ