পিরোজপুর প্রতিনিধি:
মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এইচএসসির রসায়ন দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা দিয়েছে মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে ভোগার পর শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান মোস্তাফিজুরের মা লায়লা জেসমিন মুন্নী (৪০)।
মায়ের মৃতদেহের পাশে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিল এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ঘটেছে এ মর্মস্পর্শী ঘটনা। মায়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে রোববার পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েছে সে। সে আমানউল্লাহ কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নয়াখালী মাটিভাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গৌরীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের নিবাসী মরহুম বিপ্লব আকনের স্ত্রী লায়লা জেসমিন মুন্নী দীর্ঘদিন দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার সব প্রস্ততি সম্পন্ন করে রেখেছিল পরিবার।
ছেলের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই তার ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আমানউল্লাহ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে শোকাহত মোস্তাফিজুরকে সান্ত্বনা দেন। সকালে তারা তাকে পরীক্ষার হলে নিয়ে যান।
আমানউল্লাহ কলেজের শিক্ষক মাকসুদুর রহমান জানান, মোস্তাফিজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। শনিবার রাতে তার মায়ের মৃত্যু হয়। মায়ের লাশ বাড়িতে রেখেই সে রোববারের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
রোববার দুপুর ২টায় সিকদার হাট মসজিদে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
বিএসডি/ এলএল