মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার আসামি নিখোঁজ কামরুল সিকদার ওরফে মুছার বড় ভাই সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে সাকুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট এলাকা থেকে গতকাল বুধবার রাতে সাইদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাহমুদার বাবার করা হত্যা মামলায় সাইদুলকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের তাঁকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আসামি সাইদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পিবিআই সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজনদের একজন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। তাঁরই ভাই সাইদুল ইসলাম শিকদার। মিতু হত্যার পর তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার যে মামলা করেছিলেন, সেই মামলার তদন্তে এই দুই ভাইয়ের নাম এসেছিল। সাইদুল গ্রেপ্তার হয়ে পরে জামিনে মুক্তি পান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, আসামি সাইদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। মাহমুদা হত্যার বিষয়ে তাঁর কাছে তথ্য জানার চেষ্টা রয়েছে। ঘটনায় অংশ নেওয়া মুছার ভাই তিনি। পলাতক মুছার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হবে।
নিখোঁজ মুছার ছেলে শামসুল ইসলাম শিকদার আজ বিকেলে বলেন, ‘আমার বাবাকে পুলিশই ধরে নিয়ে গেছে। আমার বাবা কোথাও পালালে পাসপোর্ট নিয়ে যেত। আমাদের কাছে পাসপোর্ট আছে। দোষী হলে বিচার হোক। আদালতে সোপর্দ করা হোক।’
এদিকে তদন্তে মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই। বুধবারই বাবুলের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তারা।
অপরদিকে বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে বুধবারই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। এই মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়েছে। বাবুলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।