নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের ১৭ যাত্রীর পরিচয় মিলেছে। তারা সবাই হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের আমানবাজার যুগীরহাট এলাকার ‘আর অ্যান্ড জে’ নামক একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক। এ ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষকসহ ১১ জনই ঘটনাস্থলে মারা যান। এছাড়া আহত ছয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল ঘুরে জানা গেছে, মাইক্রোবাসে থাকা সকলের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের আমান বাজার ও যুগিরহাট এলাকায়। গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক জিসান, সজীব, রাকিব এবং রেদোয়ান মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া পানির ঝর্ণা দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হন।
গতকাল কথা হলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলম বলেন, আমরা এ ঘটনায় অত্যন্ত শোকাহত। আমরা উপজেলা প্রশাসন নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছি। আজ (শুক্রবার) রাতের মধ্যে নিহতদের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। আগামীকাল (শনিবার) সকাল ১০টায় নিহতদের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
নিহত ও আহতদের পরিচয়
মর্মান্তি এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১ জন। তারা হলেন- ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বারের বাড়ির জানে আলমের ছেলে নিহত শিক্ষক ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), একই ওয়ার্ডের লাইনম্যান কবিরের বাড়ির আবদুল হামিদের ছেলে নিহত শিক্ষক জিয়াউল হক সজীব (২২), শিকারপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খানের বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে নিহত শিক্ষক মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে নিহত শিক্ষক রেদোয়ান চৌধুরী (২২), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বজল কন্ট্রাক্টর বাড়ির মোজাফফরের ছেলে নিহত মোসহাব আহমেদ হিসাম (১৬), লাইনম্যান কবিরের বাড়ির আবদুস শুক্কুরের ছেলে নিহত শিক্ষার্থী আয়াতুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল ওয়াদুদ মাস্টারের বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে নিহত শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন মারুফ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী জালাল কোম্পানি বাড়ির মো ইলিয়াছ প্রকাশ ভুট্টোর ছেলে নিহত পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান, সাবরেজিস্টার বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসমির হাসান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর আজিম সাব রেজিস্টার বাড়ির হাজী মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে নিহত চালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬) এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পারভেজের ছেলে শিক্ষার্থী সাগর।
আহত ছয়জন হলেন- আকবরশা থানার শেরশাহ কলোনির মো. সুলাইমানের ছেলে মাইক্রোবাসের হেলপার তৌহিদ ইবনে শাওন (২০), মনসুর আলমের ছেলে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাহিম (১৮), আব্দুর রহিমের ছেলে তানভীর হাসান হৃদয় (১৮), ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাছা মিয়া সওদাগর বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমন (১৯), সৈয়দুল আলমের ছেলে মো. সৈকত এবং সাজ্জাদ (২৩)।
বিএসডি/ফয়সাল