নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধ পদকের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খান বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধ পদকের জন্য সাতটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করেছে। আমরা এ সংখ্যাটা বাড়াতে বলেছি। ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে যাতে পদক দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করতে বলেছে কমিটি।
গত ৯ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ পদকের প্রবর্তনের কথা জানায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি ও সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত করতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ চালু করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
সাতটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য দেওয়া হবে এ পদক। এগুলো হলো- স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনে ভূমিকা, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, মুক্তিযুদ্ধ/স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ।
এছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্রে এ পদক দেওয়া হবে। প্রতিবছর ১৫ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হবে। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম সোনার পদকের সঙ্গে একটি রেপ্লিকা এবং দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে।
বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সরকার ঘোষিত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা যেন নির্বিঘ্নে পেতে পারেন সে লক্ষ্যে সবাইকে ডিজিটাল সনদ, স্মার্ট পরিচয়পত্র ও একটি মেডেল দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, স্মার্ট আইডি কার্ড, ডিজিটাল সনদ এবং মেডেল দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মেডেলটা যে ধাতুরই হোক, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তারা একটি মেডেল পাবে। এটার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বৈঠক সংক্রান্ত সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সব মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অফিসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওঠানামার কষ্ট দূর করতে মন্ত্রণালয়কে কমপ্লেক্সে লিফট/ক্যাপসুল লিফট স্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
শাজাহান খানের সভাপেতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, এ বি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল অংশ নেন।
বিএসডি/এমএম