আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের মেঘালয়ের বিভিন্ন স্থানে প্রবল ঝড়ে দুই হাজারের বেশি বাড়ি ভাঙল। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্ব খাসি হিল, রি-ভয়, দক্ষিণ গারো হিল ও উত্তর গারো হিল জেলায় বৃহস্পতিবার ব্যাপক ঝড় হয়।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রি-ভয় জেলা। সেখানে ৭৭টি গ্রাম মিলিয়ে এক হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনেক সরকারি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে ঘরহারাদের জন্য ত্রাণ শিবির তৈরি করা হচ্ছে। খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকা কন্ট্রোল রুম।
উত্তর গারো হিলের খারকুট্টা গ্রামে বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। প্রচুর গাছ উপড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামের বিভিন্ন স্থানেও বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চিরাঙ জেলায় ভুটান সীমান্তে থাকা বেংতলের আণ্ঠাইবাড়ি অর্কিড সংগ্রহালয় ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে। প্রায় ২০ বছর ধরে একক প্রচেষ্টায় অর্কিডগুলো সংগ্রহ করে গ্রিন হাউস তৈরি করেছিলেন অর্কিডপ্রেমী অঞ্চরাম নার্জারি। বছরের প্রথমেই সেই স্বপ্নের সংগ্রহশালা কার্যত ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় তিনি ভেঙে পড়েছেন। জনিয়ায়ে গাছ ভেঙে পড়ে এক নারী মারা যান।
অন্য দিকে নববর্ষের শোকাচ্ছন্ন আসামের টিংখঙও। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে খেরনি এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে কয়েক জন নারী আশ্রয় নিয়েছিলেন। ঝড়ে বাঁশঝাড়ের গাছ উপড়ে মারা গেছেন এক কিশোরীসহ চার নারী। মৃতদের নাম মণিকা ধান, লাবণ্য হর, এনি কুজুর ও কোয়ারি বেংরা। লাবণ্যের বয়স ১২ বছর।
বিএসডি/ এমআর