ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বলকান রাষ্ট্র নর্থ মেসিডোনিয়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ভ্যান ও ট্রাক থেকে অন্তত ৮২ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করা হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, শুক্র এবং শনিবার অভিযান চালিয়ে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটক করা হয়; যাদের মধ্যে অন্তত ২০ বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন।
পুলিশের স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, নর্থ মেসিডোনিয়া এবং স্লোভেনিয়ার সীমান্ত কর্মকর্তাদের একটি যৌথ দল গ্রিস সীমান্তের কাছের উত্তর-দক্ষিণ মহাসড়কে একটি ট্রাকে লুকিয়ে থাকা ৬২ জনকে আটক করেছে। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগই— ৪৬ জন পাকিস্তানের, ১৩ জন ইরিত্রিয়ার এবং তিনজন মালির। এছাড়া সার্বিয়ার ৩৩ এবং ৩৭ বছর বয়সী দুই নাগরিককেও আটক করেছেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।
শনিবার নর্থ মেসিডোনিয়ার পুলিশের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা নিয়মিত যানবাহন তল্লাশির সময় সার্বিয়া সীমান্তের কাছের মহাসড়কে একটি ভ্যান থেকে ২০ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছেন। ওই ভ্যানের ৪৪ বছর বয়সী মেসিডোনিয়ার চালককেও আটক করা হয়েছে।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে ৯ জন শিশু রয়েছে। বাবা-মা অথবা অন্য কোনও অভিভাবকের সঙ্গে ভ্রমণ করেছেন কি-না সে বিষয়ে জানতে শিশুদের সঙ্গে একজন সমাজকর্মী কথা বলেছেন।
পুলিশ বলছে, আটক সব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর গেভজেলিজার আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রিসে পাঠানো হবে। গ্রিস থেকেই তারা নর্থ মেসিডোনিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করছে দেশটির পুলিশ।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সীমান্ত বন্ধ এবং মানুষের চলাচলে বিধি-নিষেধ থাকলেও বলকান অঞ্চলের দেশগুলোতে মানবপাচারকারীরা সক্রিয় রয়েছেন। গ্রিস হয়ে নর্থ মেসিডোনিয়াকে ব্যবহার করে ইউরোপের বিভিন্ন উন্নত দেশে প্রায়ই পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। গত ৮ বছরের লাখ লাখ মানুষ এই দেশটির সীমান্ত পেরিয়ে ইউরোপে ঢুকে পড়েছে।
সূত্র: এপি।