স্পোর্টস ডেস্ক,
লিভারপুল ছেড়ে বার্সেলোনায় ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপ্পে কুতিনহোর দলবদলের ঘটনার সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ফের বিষয়টি সামনে এসেছে।
কুতিনহোকে কেনার জন্য তৎকালীন বার্সা সভাপতি জোসেফ বার্তেমেউ কম সমালোচনার স্বীকার হননি।
বার্সা সমর্থকরা বিস্মিত হয়েছিল যে, লিওনেল মেসি দলে থাকার পরও কুতিনহোর মতো ‘নাম্বার টেন’কে কেনার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে। বিষয়টি বার্তেমেউয়ের একগুঁয়েমিতা বা ভুল সিদ্ধান্ত হিসেবেই মন্তব্য করেন সমর্থকরা।
পরে খেলায় দেখা গেলও তাই। মেসির কারণে কুতিনহো নিজের সেরাটা মেলে ধরতে পারছিলেন না। তিনি জানতেন-ই না যে, কোন পজিশনে খেললে সাফল্য পাবেন। উইঙ্গার হিসেবেও খেলতে পারছিলেন না।
তৎকালীন কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে তাকে একের পর এক ম্যাচে সুযোগ দিয়েছেন। তবু ফর্মে ফেরেননি। পরের মৌসুমে ধারে চলে যান বায়ার্ন মিউনিখে।
সব মিলিয়ে এককালীন ১২ কোটি ইউরো দিয়ে কেনা কুতিনহোর পারফরম্যান্স মুগ্ধ করতে পারেনি সমর্থকদের।
তাই সেই সময় কুতিনহোকে কিনে অর্থ নষ্ট করার জন্য সভাপতি বার্তেমেউয়ের দিকে আঙুল তোলেন অনেকে।
কিন্তু সাড়ে তিন বছর পর নতুন এক খবর দিল স্প্যানিশ পত্রিকা স্পোর্তে।
তাদের দাবি, কুতিনহোকে কেনার কোনো আগ্রহই ছিল না ক্লাবের বা বার্তেমেউয়ের। লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের জোরজবরদস্তিতে কুতিনহোকে চড়াদামে লিভারপুল থেকে নিয়ে আসতে বাধ্য হয় ক্লাব!
স্পোর্তের সাংবাদিক হোয়ান ভেহিলসের এক প্রতিবেদনে এভাবে মেসি-সুয়ারেজের দিকে আঙুল তোলা হলো।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্সা সভাপতি ও বোর্ডের কোনো ইচ্ছাই ছিল না এত অর্থ ব্যয় করে কুতিনহোকে আনার। কিন্তু ওই সময় নেইমারকে নিয়ে যায় পিএসজি। এতে মেসি ও সুয়ারেজ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তাই তারা চাচ্ছিলেন নেইমারের দেশের সেরা কোনো স্ট্রাইকারকে। কুতিনহোই ছিল তাদের প্রথম পছন্দ। তাই মেসি-সুয়ারেজের পীড়াপীড়িতে এ ব্রাজিলিয়ান তারকাকে কিনে আনতে বাধ্য হয় বার্সেলোনা।
স্পোর্তের এমন প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ফুটবলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অবশ্য এই প্রতিবেদন অনেকেই সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের বক্তব্য সাংবাদিক হোয়ান ভেহিলস বরাবরই বার্তোমেউঘেঁষা।
তথ্যসূত্র: ট্রিবিউন, বার্সা ইউনিভার্সেলা
বর্তমান সময়/আইপি