আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের সঙ্গে চারদিন ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে লড়াইয়ের পর গত শনিবার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় পাকিস্তান। দেশটি জানিয়েছে, তারা এ যুদ্ধবিরতিতে এখনো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছে। তবে ভারত যদি ভবিষ্যতে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালায় তাহলে পূর্ণশক্তি দিয়ে এর জবাব দেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, যদি ভারতের ওপর আবার কোনো সন্ত্রাসী হামলা হয় তাহলে সীমান্তে ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানায়’ আবারও হামলা চালাবেন তারা। এক্ষেত্রে পারমাণবিক হামলার ভয় দেখিয়ে তাদের নিবৃত রাখা যাবে না।
মোদির এ মন্তব্যের পর আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে এমন কড়া হুঁশিয়ারি এসেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোদির ভাষণের সমালোচনা করে বলেছে, “মোদির বক্তব্য উস্কানিমূলক। যখন এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চলছে, তখন তার এ বক্তব্য উত্তেজনা বৃদ্ধিকেই নির্দেশ করে। পাকিস্তান বর্তমান যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে এবং উত্তেজনা নিরসন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভবিষ্যতের যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব হবে কঠোর।”
গত বুধবার পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মির ও অন্যান্য জায়গা লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে ভারত। ওই সময় নয়াদিল্লি দাবি করে পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছেন তারা। এরপর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন হামলা চালানো শুরু করে পাকিস্তান। এরমধ্যে শুক্রবার আবাও মিসাইল ছোড়ে ভারত। এরপর পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায়।
আজ মঙ্গলবার পাকিস্তান জানিয়েছে ভারতের হামলায় তাদের ৪০ বেসামরিক নাগরিক এবং ১১ সেনা নিহত হয়েছেন। গত তিন দশকের মধ্যে এই সংঘাতটি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অন্যতম বড় ছিল।
সূত্র: রয়টার্স