ক্রীড়া ডেস্ক,
‘আমরা চলে যাচ্ছি। আমাদের ৩ জনকে খেলতে দেয়া না হলে আমরা সকলেই চলে যাবো। আমরা তিন দিন ধরে এখানে অবস্থান করছি, তারা অপেক্ষা করছিল ম্যাচ শুরু হওয়ার জন্য! এর আগে আসেনি কেউ’- বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ব্রাজিল স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বাধা পাওয়ায় কথাগুলো বলছিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের কথার সঙ্গে মিলে যায় কনমেবলের শৃঙ্খলাবিধি। খেলোয়াড় সংক্রান্ত কোনো জটিলতা থাকলে, তা ম্যাচের আগে বা পরে মেটানোর নিয়ম। ব্রাজিল যদি নিয়ম ভঙ্গই করে, তবে কি পয়েন্ট পাবে আর্জেন্টিনা? এ ব্যাপারে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম এইরে দে সান্তা ফে’র সাংবাদিক আন্দ্রে ইয়োসেন কনমেবলের শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘শৃঙ্খলাবিধির ৭৪ নম্বর ধারা অনুসারে, ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে খেলোয়াড়দের ম্যাচ খেলায় বাধা দেয়া যাবে না।
খেলোয়াড় সংক্রান্ত কোনো জটিলতা থাকলে, তা ম্যাচ শুরুর আগে কিংবা শেষ হওয়ার পর সমাধান করতে হবে। কোনো মতেই ম্যাচ চলাকালীন করা যাবে না। এমনটি হলে যে দলের কারণে ম্যাচ থেমে যাবে, সে দল তিন পয়েন্ট হারাবে। প্রতিপক্ষ দল পাবে সেই তিন পয়েন্ট।’ এদিকে কনমেবল জানায়, ম্যাচ সংশ্লিষ্ট সব সিদ্ধান্ত নেবে ফিফা। এক টুইট বার্তায় সংস্থাটি জানায়, ‘ম্যাচ রেফারি ও ম্যাচ কমিশনার ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির কাছে এ নিয়ে প্রতিবেদন দেবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এ প্রক্রিয়া বর্তমান নিয়ম দৃঢ়ভাবে মেনেই এগোবে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ফিফার প্রতিযোগিতা। এ ব্যাপারে সকল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তাদের হাতেই।’ শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আপত্তির মুখে ম্যাচ স্থগিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রধান ক্লদিয়ো তাপিয়া। তিনি বলেন, ‘যা ঘটেছে তা ফুটবলের জন্য খুব দুর্ভাগ্যজনক। খেলাটির ভাবমূর্তির জন্য এটি খুবই খারাপ হলেরা। চার জন মানুষ একটি নোটিশ দিতে খেলা পণ্ড করে দিলো এবং কনমেবল খেলোয়াড়দের লকার রুমে চলে যেতে বলল।
বিএসডি/এএ