দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর শোক এখনো টাটকা। এর মধ্যেই কাল আর্জেন্টিনা থেকে এলো শিউড়ে ওঠার মতো এক খবর। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে ‘ইচ্ছাকৃত হত্যার’ অভিযোগ উঠেছে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে। ওই ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
অভিযুক্ত ৭ জনের দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মামলার বিচারককে অনুরোধ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ৭ জন হলেন- ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোলদো লুক, দুই নার্স রিকার্দো ওমার আলমিরন, দাহিয়ানা জিসেলা মাদ্রিদ, নার্সিও কো-অর্ডিনেটর মারিয়ানো পেরোনি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবার কো-অর্ডিনেটর ন্যান্সি ফোরলিনি, মানসিক স্বাস্থ্যবিদ কার্লোস আনহেল দিয়াস ও অগুস্তিনা কোসাচভ।
গত নভেম্বরের ২৫ তারিখে অন্যলোকে চলে যান দিয়েগো ম্যারাডোনা। তখন বলা হয়েছিল, ঘুমের মধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। কিন্তু মৃত্যুর পর থেকেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিভিন্ন কথা উঠতে থাকে। ম্যারাডোনার মেয়েরা প্রথম তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসকদের গাফিলতির কথা তোলেন।
গত মার্চে সান ইসিদ্রোর প্রসিকিউটরস অফিস বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। তদন্ত শেষে ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হলো। স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা জানাচ্ছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৮ থেকে ২৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে অভিযুক্তদের। ৭ অভিযুক্তের শুনানি শুরু হবে আগামী ৩১ মে থেকে।
এদিকে, কিছুদিন আগে চিকিৎসক ও ম্যারাডোনার সহকারীদের মধ্যে কথাবার্তার একটি অডিও ফাঁস হয়েছিল। তাতে মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনাকে উপযুক্ত চিকিৎসা না দেওয়ার ইঙ্গিত মিলে। ম্যারাডোনার প্রতি চরম ক্ষোভের প্রকাশও স্পষ্ট হয় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের।