করোনার ভয়ানক থাবার মুখে গোটা বিশ্ব। মৃত্যুর এ মিছিলে রেহাই পাইনি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। মানুষ প্রতিনিয়ত রোগ এবং খাবারের জন্য সংগ্রাম করে চলছেন। কেউবা পেরেছেন নিজেকে সামাল দিতে, কেউবা হারিয়ে যাচ্ছেন ক্ষুধার রাজ্যে। এ যেন জাগতিক মায়াকে বিভ্রম প্রমাণ করার পরীক্ষা। সমাজের এই সুবিধাবঞ্চিত পরিবারদের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে এসেছেন “বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্লামেন্ট ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল লাইব্রেরী” করোনা সংকটে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। গড়ে তুলেছেন ইমাজেন্সি ফুড সাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ । যারা শুরু থেকেই বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন । ৬৪ জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে দৈনিক বর্তমান সময়ের সাথে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্লামেন্ট ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল লাইব্রেরীর সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট ডা. এস.এম বাদশা মিয়া। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক বর্তমান সময়ের নিজস্ব প্রতিবেদক ফয়সাল আহমেদ।
বর্তমান সময় – আমরা জানতে পেরেছি করোনা সংকটের মধ্যেও অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্লামেন্ট ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল লাইব্রেরি, এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?
ডা. এস.এম বাদশা মিয়া – জি। আপনারা ঠিকই শুনেছেন। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্লামেন্ট ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। অসহায় মানুষের পাশে সবসময় আছে এ সংগঠন। আমরা সর্বদা মানবতার সেবায় নিয়োজিত। দেশ বিদেশে আমাদের কার্যক্রম চলমান। এই সংকট মোকাবেলায় আমাদের সংগঠন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে।
বর্তমান সময় – আপনারা বর্তমানে কতটি জেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন?
ডা. এস.এম বাদশা মিয়া – আমরা বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ জেলাতেই আমাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। বাংলাদেশের বাইরে কানাডা ও ভারতসহ ১৪০ টি দেশে আমাদের কার্যক্রম চলমান। ভবিষ্যতেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বর্তমান সময় – কোথায় কোথায় আপনাদের কমিটি আছে?
ডা. এস.এম বাদশা মিয়া – দেখুন, বাংলাদেশের ৬৪ জেলাতেই আমাদের কমিটি আছে। স্কুল পর্যায়ে থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি লেভেল পর্যন্ত আমাদের কমিটি রয়েছে। জেলা ,উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও আমাদের কমিটি রয়েছে।
বর্তমান সময় – আপনি তো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। কখন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেছেন?
ডা. এস.এম বাদশা মিয়া – আসলে আমি ক্লাস ফোর (চতুর্থ শ্রেণি) থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করেছি। এরপর থেকে সব সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।
বর্তমান সময় – বঙ্গবন্ধুর কোন দিকটি আপনাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে?
ডা. এস.এম বাদশা মিয়া – আমি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবে তার সকল দিকই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। তার আদর্শ, মহত্ত্ব, চিন্তা-চেতনা। তার সকল গুনই আমাকে আকৃষ্ট করে।
বর্তমান সময় – বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনে আপনারা কি ধরনের প্রোগ্রাম করেন?
ডা. এস.এম বাদশা মিয়া – বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে থাকি। দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে থাকি। প্রতি বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনে চার থেকে পাঁচ হাজার অসহায় ও এতিমের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
বর্তমান সময় – আমরা জেনেছি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপনি ব্ই লিখেছেন?
ডা. এস.এম বাদশা মিয়া – জি। আমি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিনটি বই লিখেছি – মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু প্রথম সংস্করণ, মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় সংস্করণ ও মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু তৃতীয় সংস্করণ। এগুলো বিভিন্ন মহলে প্রসংশা পেয়েছে। এছাড়াও গতবছর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার লেখা “কিশোর বঙ্গবন্ধু ” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
বর্তমান সময় – এছাড়া আর কোন কাজ করা হয় কিনা?
ডা. এস.এম বাদশা মিয়া – আমি সর্বদা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে কাজ করি।যতক্ষণ প্রাণ আছে মানুষের সেবায় কাজ করে যাবো।
বর্তমান সময় – সাধারণ মানুষের জন্য কিছু বলতে চান?
ডা. এস.এম বাদশা মিয়া – আমরা সর্বদা অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে আছি। সব সময় তাদের সেবা করে যাব।আমাদের সংগঠন সব সময় মানুষের কল্যানে কাজ করে। আমরা ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম চলমান রাখবো।
বর্তমান সময় – আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ।আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
ডা. এস.এম বাদশা মিয়া – বর্তমান সময়কেও ধন্যবাদ।