নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও পকেটমারার অভিযোগ গ্রেফতার হলেন এক অভিনেত্রী। তিনি হলেন জনপ্রিয় টালিউড ও বলিউড অভিনেত্রী রূপা দত্ত। শনিবার কলকাতা বইমেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এরপর রবিবার তাকে তোলা হয় আদালতে। বিচারকের সামনে রূপা নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেন। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাকে। রূপার আইনজীবীও তার বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ তুলে ধরেন। শেষ পর্যন্ত তার এক দিনের জেল হেফাজত হয়।
এরআগে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বইমেলায় রূপার সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করেন টহলরত পুলিশকর্মীরা। দেখা যায়, তিনি বেশ কয়েকটি মানিব্যাগ আবর্জনা স্তূপে ফেলছেন। তাকে প্রশ্ন করার পরে কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেন না তিনি। তাকে বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি নিজেকে বলি অভিনেত্রী বলে দাবি করেছেন। তার কাছ থেকে একাধিক মানিব্যাগ, নগদ টাকা, একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়। তা থেকে পুলিশ জানতে পারে, কবে, কোথা থেকে কত টাকা তিনি হাতিয়েছেন। সেখানে বইমেলা ছাড়াও কলকাতার অনেক জনবহুল এলাকার নাম পাওয়া যায়। এমনকি ওই ডায়েরিতে খরচের বিবরণ দেওয়া রয়েছে।
রূপা দত্ত দাবি করেছিলেন, ফেসবুকেই অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার। আর তারপর অনুরাগ একাধিকবার ইঙ্গিতপূর্ণ মেসেজ করেছিলেন তাকে। ন্যাশনাল চ্যানেলে সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন রূপা দত্ত। এমনকি মহেশ ভট্টের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। মহেশ ভট্টও নাকি তাঁকে এই ধরনের মেসেজ পাঠিয়েছিলেন ফেসবুকে, যার অন্য কিছু মানে দাঁড়াও।
শুধু তা-ই নয়, ২০০৫ সালে তিনি ‘সাথী’ সিনেমায় অভিনয় করেন। পরে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বাইয়ে। সেখানে একাধিক সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে জনপ্রিয় হন ‘জয় মা বৈষ্ণোদেবী’ সিরিয়ালে অভিনয়ের জন্য।
রূপা নাকি অভিনয় শেখানোর জন্য একটি স্কুলও খুলেছেন। উপরন্তু ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছেন বলেও দাবি তার ফেসবুক প্রোফাইলে। নিজেকে ‘লেখিকা’, ‘অভিনেত্রী’, ‘পরিচালক’, ‘সমাজসেবী’, ‘কন্যা’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন ফেসবুকে।
তার প্রোফাইল হাতড়ালে দেখা যাবে, তিনি দাবি করেছেন, মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে তিনি কাজ করা শুরু করেছেন। মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্যেও প্রকল্পের সূচনা করেছেন বলে দাবি রূপার।
বিএসডি/ এফএস