যশোর প্রতিনিধি:
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় যশোরে আরও ৩১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে মণিরামপুর উপজেলায় ১৭ জন ও বাঘারপাড়ায় ১৪ নেতা রয়েছেন।
(২২ নভেম্বর) সোমবার যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধার সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির স্বাক্ষরিত চিঠিতে দুই উপজেলার ৩১ ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’কে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। বহিষ্কাররা মণিরামপুর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন।
মণিরামপুর উপজেলার বহিষ্কাররা হলেন, রোহিতা ইউনিয়নে উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আবু আনছার সরদার, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আশরাফুল আলম মিন্টু, ভোজগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মোড়ল, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আয়ুব হোসেন।
হরিদাসকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির লিটন, খেদাপাড়া ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হক, ঝাঁপা ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের সদস্য স ম আলাউদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম।
চালুহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হামিদ সরদার, খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আতাউর রহমান লাভলু।
কুলটিয়া ইউনিয়নে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আদিত্য মন্ডল ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য প্রভাষ ঘোষ, নেহালপুল ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আনিচুর রহমান ও সদস্য মনোয়ার হোসেন।
বাঘারপাড়ার বহিষ্কাররা হলেন, জোহরপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মোল্লা বদর উদ্দীন ও উপজেলা সৈনিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, বন্দবিলা ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক জিয়াউর রহমান জয়, রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মনজুর রশিদ স্বপন ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশারেফ হোসেন।
নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আবু তাহের আবুল সরদার, ধলগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আতিয়ার রহমান, দোহাকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণ অধিকারী, দরাজহাট ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়ুব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাসুয়াড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, জনগণের ভালোবাসায় দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে। যার ফলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে বিএনপি ভোটে না থাকার কারণে দলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিবৃত্ত করতে আমরা সাংগাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
তিনি আরও জানান, শুধু দলীয় মনোনয়ন না, দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে যেই অবস্থান নেবে তাকে বহিষ্কার করা হবে। ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা পাস করলেও তাদের দলে কখনো ফেরত নেওয়া হবে না। একইসঙ্গে যারা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৮ নভেম্বর যশোরের মণিরামপুর, বাঘারপাড়া ও শার্শায় ইউপি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ঝিকরগাছা, চৌগাছা ও শার্শা উপজেলার ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ৩৭ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ।
বিএসডি/এসএসএ