পুলিশ ও মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরের পুলেরহাট এলাকায় অবস্থিত ওই মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের পঞ্চম তলার বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে সকালে দীর্ঘ সময় বন্ধ দেখে অন্য শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তাঁরা ভেন্টিলেটরের ছিদ্র দিয়ে ভেতরে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদ্-দ্বীনের পরিচালক ফজলুল হক বলেন, ওই শিক্ষার্থী কলেজের বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ফজলুল হক আরও বলেন, ‘আজ দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। তিনি (সীমা) তাঁর বান্ধবীদের কাছে বলেছিলেন, তাঁর মন ভালো নেই। কারণ, পরীক্ষার প্রস্তুতি তাঁর ভালো ছিল না। তিনি পাস করতে পারবেন না। ধারণা করা হচ্ছে, এ জন্য তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ সীমার লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে বোঝা যাবে এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা। তবে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে।’
বিএসডি/ এলএল