নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ও সেসময় হত্যা, নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ শুরু হয়। এতে রাজধানী ও এর আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ও আন্দোলন দমনে সংঘটিত বর্বরতার বিচারের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। জুলাই ছাত্র আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষণাপত্র নিয়ে বিভিন্ন কূটকৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। সেজন্য ‘মার্চ ফন ইউনিটি এন্ড জাস্টিস’ শিরোনামে এই ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আন্দোলনের সময় যারা নির্যাতন ও হত্যায় জড়িত ছিল তাদেরও বিচার করতে হবে।
সমাবেশের শুরুতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম বলেন, বর্তমানে কথিত রাজনৈতিক দলের কিছু নেতারা নির্বাচন নিয়ে খুব উদ্বিগ্নতার কথা বলেন। তারাই গণঅভ্যুত্থানকে ভেস্তে দিতে যায়। এরা যদি আবার বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে আবারও পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকেই এখন রাজনৈতিক সংস্কার চান না। আসলে, যারা রাজনীতি থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা কখনো সংস্কার চাইবে না এটাই স্বাভাবিক।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিশাত ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। এর আগেও আমরা দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে অনেক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু তারা কেউ দেশের মানুষের জন্য কিছু করেননি। এখন দেশের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্য বজায় রাখতে হবে।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী কাজী ইমাম বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমরা আজকের এই অবস্থানে দাঁড়াতে পেরেছি। আগামীর বাংলাদেশের কী কার্যক্রম হবে সেটি দেশের জনগণ ঠিক করবে। কেউ যদি আবারও ভারতের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের চেষ্টা করে তাহলে আবারও তাদেরকে রুখে দেওয়া হবে।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কথা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবে আন্দোলনকে বেগবান করেছে অন্য কেউ সেটি করতে পারেনি। তারপরও আমরা বৈষম্যের শিকার। আমাদের আহত শিক্ষার্থীরা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আমরা নিজেদের ব্যর্থ মনে করছি। কারণ, ৫ মাস পরও আমাদের আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য দাবি তুলতে হচ্ছে। আমরা কাউকে দেখে আন্দোলনে নামিনি।
অপরদিকে, সমাবেশ ঘিরে শাহবাগ এলাকায় বাড়তি পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থাকেও কাজ করতে দেখা গেছে।