আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের উত্তরাংশের উপকূলীয় অঞ্চলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে; তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল কেপ ম্যানডোসিনোতে অনুভূত হয় এই ভূমিকম্প। এতে প্রাথমিকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কয়েকটি ভবনের কাঁচ ভেঙে পড়া ও তাক থেকে জিনিসপত্র পড়ে যাওয়া ছাড়া তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের হামবোল্ট কাউন্টির শেরিফের দফতর থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার লস্ট কোস্ট এলাকার পশ্চিমের ছোট্ট গ্রাম পেট্রোলিয়ার পাথুরে এলাকা থেকে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের ৯ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
তবে সাগরের ভূপৃষ্ঠের গভীরে উৎপত্তি ঘটলেও ফল্ট সিস্টেমের কারণে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই বলে এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন মার্কিন ভূতত্ত্ববিদ লুসি জোনস।
হামবোল্ট কাউন্টি শেরিফ বিভাগের মুখপাত্র সামান্থা কার্গেস এক ইমেইলে বার্তা সংস্থার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১২ টা ১০ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়। ওই অঞ্চলটিতে জনবসতি বিরল হওয়ায় কাউকে সরিয়ে নেওয়ার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
কার্গেস জানান, রাস্তাঘাটের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করতে কর্মী ও অন্যান্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভূকম্পনের কারণে পাথর ভেঙে রাস্তায় পড়ায় দুটি রাস্তা বন্ধ ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
টুইটারে তার বিভাগ জানিয়েছে, দক্ষিণের উপকূল বরাবর অসংখ্যবার পরাঘাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে ১৯৯২ সালে এই অঞ্চলে একাধিক ভুমিকম্পের ফলে প্রায় ১১০০ বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছিল।
১৯৯২ সালের ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটি ৭ দশমিক ২ মাত্রার ছিল, সোমবারের ভূমিকম্পের চেয়ে তা প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল।
বিএসডি/জেজে