নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৪ জন। এর মধ্যে বাড়ির বেসমেন্টে আটকা পড়ে মারা গেছেন ১১ জন। এ ছাড়া কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। আর পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাতাল রেল স্টেশনে বন্যার পানি ঢুকছে। পানি ঢুকছে মানুষের বাড়িতেও। ফলে অধিকাংশ পাতাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বন্যার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এমন দুর্যোগ মোকাবিলায় অবশ্যই ভালো প্রস্তুতি রাখতে হবে।
এদিকে বন্যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লুইজিয়ানার কর্তৃপক্ষ বলছে, পানি কমে যাওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে এই সেবা চালু করতে। সেখানকার হাজারো মানুষের বাড়ির বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঝুঁকি এড়াতে।
এর আগে বিবিসির আরেক খবরে বলা হয়, নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক এলাকায় মাত্র এক ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তায় জরুরি নয় এমন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির সঙ্গে উড়োজাহাজ ও রেলযোগাযোগ।
নিউ জার্সির প্যাজাইক শহরের মেয়র হেক্টর লরা সিএনএকে বলেন, বন্যার পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া একটি গাড়ির ভেতর থেকে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটির বাসিন্দা জর্জ বেইলি বিবিসিকে বলেন, ‘রাতের খাবারের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ পানির শব্দ শুনতে পেলাম আমি, একপর্যায়ে বাথরুম থেকে পানি আসা শুরু করল। তাৎক্ষণিক আমি ইউটিলিটি রুমে পানির মূল লাইন পরীক্ষা করার পর রুমে এসে দেখি সেখানে প্রায় এক ফুট পানি চলে এসেছে। এত দ্রুত এভাবে পানি আসা অবিশ্বাস্য একটা বিষয়।’
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস নিউইয়র্ক, ব্রুকলিন, কুইনস ও লং আইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি ম্যাসাচুসেটস ও রোড আইল্যান্ডে টর্নেডো সতর্কতা জারি করেছে।
বিএসডি/এএ