আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের পরমাণু বিষয়ক আলোচনা শেষ পর্যন্ত চুক্তিতে গড়ায় কি-না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। মঙ্গলবার তেহরানে এক অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করি না যে এটা কোনও ফল বয়ে আনবে। আমরা জানি না কী হবে।’’
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সম্মানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই মন্তব্য করেছেন আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, হাসান রৌহানির সময়ে এ ধরনের পরমাণু আলোচনা কোনও সাফল্য বয়ে আনেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে বলেছিলেন, গত ১২ এপ্রিল থেকে ওমানে চার দফার আলোচনার পর ইরান চুক্তির শর্তে এক ধরনের সম্মত হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মাঝে পরবর্তী দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করবে এমন কোনও অঙ্গীকারের কথাও প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালে তার প্রথম মেয়াদে ইরানের সাথে বিশ্ব শক্তিগুলোর পরমাণু বিষয়ক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
এবার তিনি সতর্ক করে বলেছেন, আলোচনা সফল না হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। আর ইরান সব সময় বলে আসছে তার পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরির কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
সাত বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। খামেনি অবশ্য বলেছেন, ইরানকে পরমাণু সমৃদ্ধ হতে দেওয়া হবে না বলাটা ভুল। কারণ কেউ তাদের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে না।