আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জ্বালানি খাতে শিগগিরই ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট নরেন্দ্র মোদি। চুক্তিটি এমন ভাবে প্রণয়ন করা হবে যেন দু’পক্ষই তা থেকে লাভবান হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বৈঠক করতে গতকাল ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে মোদি বলেন, “ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা তেল এবং গ্যাসের বাণিজ্যিক বিনিময়কে গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া পারমাণবিক শক্তি খাত সংক্রান্ত অবকাঠামোতে বিনিয়োগের মাত্রা আমরা বাড়াতে চাই। এ কারণে খুব শিগগিরই ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হতে যাচ্ছে।”
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর নয়াদিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, আগামী ৭ মাসের মধ্যেই হতে পারে এই চুক্তি।
সংবাদ সম্মেলনে মোদি আরও জানান, ভারত মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্রয় ‘শত কোটি ডলারে’ উন্নীত করতে চায় এবং একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে তেল ও তরলীকৃত জ্বালানি গ্যাসের (এলএনজি) ‘শীর্ষ সরবরাহকারী’ হিসেবে দেখতে আগ্রহী।
মোদির পাশে এ সময় উপস্থিত চিলেন ট্রাম্পও। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সায় দিয়ে ট্রাম্প বলেন, অন্যান্য সমরাস্ত্রের পাশাপাশি ভারতকে নিজেদের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ স্টেলথও সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
মোদির পাশে এ সময় উপস্থিত চিলেন ট্রাম্পও। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সায় দিয়ে ট্রাম্প বলেন, অন্যান্য সমরাস্ত্রের পাশাপাশি ভারতকে নিজেদের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ স্টেলথও সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
সেই সঙ্গে ভারতে মার্কিন পণ্যের উচ্চ শুল্কের ব্যাপারটিও গোচরে আনেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে মার্কিন পণ্যের ওপর ধার্য করা শুল্কের হার খুবই উচ্চ এবং এটি যদি কমানো না হয়, সেক্ষেত্রে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকৃত বিভিন্ন পণ্যের ওপরও উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা ছাড়া উপায় থাকবে না ওয়াশিংটনে সামনে।
জবাবে মোদি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে একটা বিষয় আমি শিখেছি এবং আমি সেটির খুবই প্রশংসাও করি; তা হলো— তিনি সবসময় জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। তার মতো আমিও সবকিছুর ওপরে ভারতের স্বার্থকে গুরুত্ব দিই।”
সূত্র : এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড, রয়টার্স