যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে অবস্থিত চীনের কনস্যুলেটে একটি গাড়ি ঢুকে পড়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরের এই ঘটনায় পুলিশের গুলিতে আহত হন ওই গাড়ির চালক। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান। হামলাকারীর পরিচয় জানা যায়নি।
তবে এক বিবৃতিতে চীনের কনস্যুলার জেনারেল এই ঘটনাকে ‘সহিংস হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। মঙ্গলবার কনস্যুলেটের সেবা স্থগিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
কনস্যুলেট ভবনে গাড়ি ঢোকার খবর পেয়ে দুপুর তিনটার একটু পর পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। ঘটনার ভিডিওতে ভিসা অফিসের লবিতে নীল রংয়ের একটি হোন্ডা সেডান দেখা গেছে।
সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের কর্মকর্তা সার্জেন্ট ক্যাথরিন উইন্টার্স সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভবনে ঢোকার পর পুলিশ সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং গুলি চালায়। এরপর ‘জীবনরক্ষাকারী চেষ্টা’ সত্ত্বেও সন্দেহভাজন ব্যক্তি হাসপাতালে মারা যান বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ও চীনের কনস্যুলেটের সঙ্গে মিলে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন উইন্টার্স।
গোলাগুলির ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, কতজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলি চালিয়েছেন বা চালকের হাতে অস্ত্র ছিল কিনা, সেইসব বিষয়ে পুলিশ কিছু জানায়নি। ভবনের ভেতরে আহত কেউ থাকারও খবর পাওয়া যায়নি।
সান ফ্রান্সিসকোর চীনা কনস্যুলেটে এর আগে কয়েকবার হামলা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যটি ছিল ২০১৪ সালের প্রথম দিন। সেই সময় এক চীনা নাগরিক কনস্যুলেটের প্রবেশ পথে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তাকে প্রায় তিন বছরে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
সান ফ্রান্সিসকোতে আগামী মাসে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশনের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এতে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অংশ নেবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
বিএসডি/এমএম