আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধে কাতারের দোহায় চলছে আলোচনা। তবে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ওসামা হামদান জানিয়েছেন, আলোচনায় ইসরায়েল ‘অগ্রহণযোগ্য’ শর্ত দিচ্ছে। যা তাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়।
তিনি ইরানের আধাসরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজকে বলেছেন, “আমরা এখনো আলোচনা করছি। আমাদের কাছে এমন শর্ত দেওয়া হচ্ছে যেগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। আমরাও বিভিন্ন শর্ত দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো কিছুতে পৌঁছানো যায়নি।”
হামাসের এ নেতা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মি ইডান আলেক্সান্ডারকে মুক্তি দেওয়া হয় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় গতি আনতে।
তবে এমন কিছু এখনো দেখা যায়নি। দোহায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই দখলদার ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক স্থল হামলা শুরু করেছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তারা পাঁচশর বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
গাজায় ব্যাপক স্থল হামলা শুরুর কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আজ এক বিবৃতিতে বলেছে “গতকাল, অপারেশন গিডিয়ন চ্যারটের অংশ হিসেবে আমাদের দক্ষিণ কমান্ডের স্যান্ডিং এবং রিজার্ভ সেনারা উত্তর ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ব্যাপক স্থল হামলা শুরু করেছে।”
প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, স্থল হামলায় সহযোগিতা ও হামাসের পাল্টা হামলা প্রতিহতে গত এক সপ্তাহে তাদের বিমানবাহিনী হামাসের ৬৭০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। যার মধ্যে ছিল হামাসের বিভিন্ন সেল, সুড়ঙ্গ এবং ট্যাংক বিধ্বংসী সাইট।
এখন পর্যন্ত হামাসের কয়েক ডজন সদস্য এবং বেশ কিছু অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। এছাড়া গাজার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো দখল করে রাখার তথ্য জানিয়েছে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
বসতি (অবৈধ) স্থাপনকারী ইসরায়েলিদের রক্ষায় এই হামলা প্রয়োজন অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে এবং বিমানবাহিনী এতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলিদের বিমান হামলায় গাজায় পাঁচশর বেশি যেসব মানুষ নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। দখলদার ইসরায়েল হামাসের সদস্যদের হত্যার দাবি করলেও; তাদের হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ।
শুধুমাত্র আজ রোববার গাজায় অন্তত ১৩৫ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলিদের হামলার কারণে গাজার উত্তরাঞ্চলের সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে করে আহত মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছেন।
সূত্র: আলজাজিরা