আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত বুধবার রাতে কাতারের আমির ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। যা আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে। তবে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হওয়ার পরও গাজায় হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর থেকে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর পর্যন্ত অন্তত ১০১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২৬৪ জন।
নিহত ১০১ জনের মধ্যে ৮২ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্স। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ২৭ জন শিশু ও ৩১ জন নারী রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা শুক্রবার সকালের দিকে জানায়, গাজার জাবালিয়ার একটি বাড়িতে ভয়াবহ হামলায় একসঙ্গে ৯ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে নারী শিশু আছে। যারা এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের পরিবারের সদস্য। যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর থেকে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে অন্তত ২০ জন নিহত হন।
গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় বর্বরতা চালিয়ে আসছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের হামলায় সেখানে ৪৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। গত বুধবার যখন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে তখন উপত্যকাটির সাধারণ মানুষ উল্লাস করতে রাস্তায় নেমে আসেন। তবে এর কিছুক্ষণ পরই সেখানে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয় তারা। এতে যুদ্ধবিরতির খবর শোনার পর আরও অন্তত ১০১ জন নিহত হয়েছেন। যারা আশা করছিলেন, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে নিশ্চিতে আবারও বসবাস করতে পারবেন, তারা এটির কার্যকারিতা দেখার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।
সূত্র: আলজাজিরা