আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
২০ বছর বয়সী লান্স করপোরাল রাইলি ম্যাককলাম তার মেরিন ইউনিটের সঙ্গে আফগানিস্তানে অবতরণ করেন। এরপর তার বাবা দেখেন, ছেলে ম্যাসেজিং অ্যাপে সক্রিয় আছে। তবে ছেলের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি ম্যাককলাম।
কিন্তু ম্যাসেজিং অ্যাপে রাইলির নামের পাশে সবুজ সঙ্কেত দেখে তার বাবা নিশ্চিত হয়েছিলেন- ছেলে অনলাইনে আছে এবং সে ঠিক আছে।
যখন খবর বের হয় যে, বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনা নিহত হয়েছে, ম্যাককলাম আবারো দেখেন ম্যাসেজিং অ্যাপে ছেলের নামের পাশে সবুজ ডট রয়েছে।
ম্যাককলামের ছেলে প্রথমবার বিদেশে মোতায়েন হয়েছে। সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে তার। তার স্ত্রীর গর্ভে সন্তান রয়েছে। ম্যাককলাম তার ছেলে রাইলিকে বার্তা পাঠান, ‘বাবা, তুমি ভালো আছ?’ তবে এসময় রাইলির নামের পাশ থেকে সবুজ সঙ্কেতটি সরে যায়।
নিহত হিসেবে চিহ্নিত হওয়া মার্কিন সেনাদের মধ্যে রাইলি একজন। গত ১০ বছরে আফগানিস্তানে একক কোনো ঘটনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মার্কিনি নিহতের ঘটনা এটি। রাইলির মৃত্যুর বিষয়টি তার বাবা ম্যাককলাম প্রকাশ করেছেন।
রাইলির স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধবরা তার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করছেন। সেইসব ছবিতে দেখা যায়, রাইলি ফুটবল খেলছেন কিংবা রেসলিং করছেন।
জানা গেছে, রাইলি ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জন্ম নিয়েছেন। যখন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করেছিল, তখন তিনি শিশু ছিলেন। সেই তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ যুদ্ধের সর্বশেষ হতাহতদের একজন হলেন।
সূত্র: নিউজ ১৮।