লাইফস্টাইল ডেস্ক,
ফার্নিচার হলো ঘরের অলংকার। ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ফার্নিচারের বিকল্প অন্য কিছু কল্পনাতেও আনা যায় না। শুধু যে সৌন্দর্য তা কিন্তু নয়, সাংসরিক জীবনেও নানান প্রয়োজনেও ফার্নিচার অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ঘরের ফার্নিচারগুলো যত সুন্দর থাকবে, ঘরের সৌন্দর্যও ততটাই অক্ষুন্ন থাকবে। আর ফার্নিচার সুন্দর ও দীর্ঘদিন টেকসই করার জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্নের। চলুন জেনে নিই, কীভাবে যত্ন নিতে হবে।
● ঘরের যে অংশে সরাসরি সূর্যের আলো বা রোদ পড়ে, সে অংশে কোনও ফার্নিচার রাখবেন না। কারণ এতে ফার্নিচারের রং খুব দ্রুত জ্বলে যাবে । এছাড়াও কাঠের ফার্নিচার হলে রোদের তাপে কাঠে ফাটল ধরার সম্ভাবনা থাকে।
● ফার্নিচারের উপর ধুলাবালি জমতে দেবেন না। চেষ্টা করবেন নিয়মিত শুকনা কাপড় দিয়ে সকল আসবাবপত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করার। কখনোই বেশি ভেজা কাপড় বা পানি দিয়ে আসবাব পত্র ভিজিয়ে মুছবেন না। এতে করে ফার্নিচারে দাগ পড়ে যেতে পারে। ভেজা কাপড় দিয়ে মুছতে হলে সেটি ভালো করে নিংড়িয়ে পানি জড়ায়ে নেবেন এবং এভাবে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছলে তারপর অবশ্যই একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নেবেন। যাতে আসবাবপত্রের গায়ে পানি লেগে থাকতে না পারে।
● পোকা মাকড় যাতে আক্রমণ করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন । কিছুদিন পর পর পোকা মাকাড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য নিমের তেল স্প্রে করতে পারেন। এরপরও যদি কোনও কারণে কোনও আসবাব পত্রে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব দেখা যায়, তাহলে সাথে সাথে সেটা সরিয়ে ফেলুন, যাতে সবগুলোতে ছড়াতে না পারে।
● কাঠের ফার্নিচার চকচকে রাখতে প্রতি ৩ থেকে ৬ মাস পর পর পলিশ করতে পারেন। ফার্নিচারে কোথাও আচড় পড়লেও পলিশ করা উচিত। এক্ষেত্রে ম্যাচিং স্যু পলিশটা খুবই উপকারী।
● ফার্নিচার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মুভ করার সময় সাবধানে সরাবেন। কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা তখনই ব্যবস্থা নিয়ে ঠিক করার চেষ্টা করবেন। কখনোই ফেলে রাখবেন না।
● সরাসরি গরম কিছু ফার্নিচারের উপর রাখবেন না এতে করে রং জ্বলে যেতে পারে। এছাড়াও পানির গ্লাস কিংবা ঠান্ডা পানির বোতল বা বরফ জাতীয় কোনও পদার্থ সরাসরি না রেখে ট্রে ব্যবহার করুন।
ফার্নিচারের বর্তমান দাম জেনে নিতে পারবেন অনলাইন ওয়েবসাইট বিডিস্টল.কম (https://www.bdstall.com/) থেকে।
বিএসডি/আইপি